বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থীরা শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী মজিবুর রহমান সারোয়ার বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে ভোট জালিয়াতি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে আমরা ছয়টি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা জনগণকে তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে বলতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আহ্বান জানাতে চাই।’
তিনি বলেন, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রয়ারি খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা দক্ষিণে ও ৪ মার্চ ঢাকা উত্তর সিটিতে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ইসির বিরুদ্ধে ৩ মামলা দায়েরের ঘোষণা বিএনপির
বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে: প্রধানমন্ত্রী
গণতন্ত্রের স্বার্থে কার্যকর বিরোধী দলের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য উল্লেখ করে সরোয়ার জনগণের কাছে পৌঁছাতে এবং সমাবেশে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তাদের প্রধান দাবি নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করা।
সরোয়ার ছাড়াও বিএনপির চারজন পরাজিত মেয়র প্রার্থী- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ঢাকা উত্তর সিটির তাবিথ আউয়াল এবং দক্ষিণ সিটির প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সরোয়ার বলেন, খুলনার নজরুল ইসলাম মঞ্জু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত না হলেও তিনি তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু আমরা কী দেখতে পেলাম, সেখানেও রাষ্ট্রযন্ত্র ও প্রশাসন জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
ছয়টি মহানগরে বিএনপির সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার আশ্বাস দিয়ে শাহাদাত বলেন, তারা জনসভায় জনগণের কাছে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সংস্থার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে: উপমন্ত্রী শামীম
এমপি পাপুলের কারাদণ্ডের মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতি ‘আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ পেয়েছে: বিএনপি
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপি সহিংস আচরণ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমরা জনগণকে সরকারের ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে সম্পৃক্ত করতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘জনগণ নির্বাচনের নামে প্রহসন দেখছে। জনমত তৈরি করে আমাদের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ইশরাক বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে এক হাজার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল অপরিবর্তিত থাকবে। ‘এ জন্য আমাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
প্রার্থীরা নির্বাচনের সময় নিজ নিজ সিটিতে তাদের অভিজ্ঞতা এবং ভোট কারচুপির বিভিন্ন অভিযোগর বর্ণনা দেন।