কাউন্সিলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম জানান, রবিবার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল চলছিল স্থানীয় গাতাবলা বাজারে। ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় পোনে দুইশ ভোট দেয়া হয়েছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চুনারুঘাট থানার একদল পুলিশ সেখানে হাজির হয়। তারা বাজারে কাউন্সিল না করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছ উপস্থিত হলে তার সাথে পুলিশ তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এএসআই আওলাদ হোসেন, উত্তম কুমার ও কনস্টেবল আদিল মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপির ৭ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে ‘চুরি’ করছে: ফখরুল
বাংলাদশ ‘হাইব্রিড রেজিমের’ দেশে পরিণত হয়েছে: ফখরুল
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন তালুকদার ও মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুক মিয়াকে আটক করে।
বিএনপি নেতা ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গউছ বলেন, মিরাশী ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ প্যান্ডেল ও ব্যান্যার গুড়িয়ে দেয়। তারা বাজারে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবেনা বলে জানায়। এ সময় নেতা-কর্মীরা অন্যত্র কাউন্সিল করার উদ্যোগ নিলে পুলিশ কোনো জায়গাতেই কাউন্সিল করতে দিবে না বলে শাসাতে থাকে। এ নিয়ে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডা হলে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: মহামারিতেও ‘ডাকাতি শাসন ব্যবস্থা’ কায়েম করেছে আ’লীগ: ফখরুল
আ’লীগের বিরাজনীতিকরণ ফরমুলা এখনও চলমান: ফখরুল
যোগাযোগ করা হলে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত্ (ওসি) মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই বিএনপি কাউন্সিলের আয়োজন করে। বাজারের শান্তি-শৃংখলা বিঘ্ন হওয়ায় তাদেরকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা উল্টো পুলিশের ওপর হামলা করে পুলিশের তিন সদস্যকে আহত করেছে।’
ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটকের সত্যতাও নিশ্চিত করেন তিনি।