বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এছাড়া বন্ধ রয়েছে লঞ্চ। দ্বিতীয় দিনের মতো সকল পরিবহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
শনিবার খুলনার সোনাডাঙা বাস টার্মিনাল ও রয়্যাল মোড় এলাকায় সকাল দশটায় গিয়ে দেখা গেছে, খুলনা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন শত শত যাত্রী।
মনিরা সুলতানা জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। ঢাকাগামী এক পরিবহনে তার টিকিট কাটা ছিল। এখন তারা বলছে বাস চলবে না।
আরও পড়ুন: আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
মাহমুদ কামাল বলেন, রেলেরও টিকিট নেই। এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না। এভাবেই হাজারও মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এদিকে, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) নিয়োগ পরীক্ষা। বাস ও মিনিবাস বন্ধ থাকায় সে পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ছিল দুই-তৃতীয়াংশ। সকাল ১০টা হতে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৭০ মার্কের ওই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৬তম গ্রেডভুক্ত তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের ৯ জুলাই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। তাতে খুলনা থেকে আবেদন করেন ১৩ হাজার ৩৭৬ প্রার্থী। আর শুক্রবার পরীক্ষায় উপস্থিত ছিল চার হাজার ৭৭৩ জন। বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ না নিতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী।
রিয়াদ নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমি চার বছর আগে আবেদন করেছিলাম। আমার বাড়ি ডুমুরিয়ার আঠারো মাইল এলাকায়। বাস বন্ধ থাকায় আমি সঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারিনি। আমার বয়সও শেষ, নতুন করে কোনো চাকরির পরীক্ষায় আবেদনও করতে পারব না। শেষ সুযোগটাও হারালাম।’
খুলনার পাইকগাছার পরীক্ষার্থী শাহানা পারভীন বলেন, ‘আমি পরীক্ষার জন্য বেশ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। খুলনাতে বাস বন্ধ থাকায় আর পরীক্ষা দিতে যাওয়া হয়নি।
অন্যদিকে যারা আগে থেকে শহরে এসে চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন, তাদেরও বাড়িতে ফিরতে নানা রকমের ভোগান্তি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট