মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার নাহিদের স্ত্রী আঁখিমুনা বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান পাইকের মেয়ে আঁখিমুনার সাথে মোরেলগঞ্জ উপজেলার শ্রেণিখালি গ্রামের কাদের মৃধার ছেলে নাহিদ হাসান মৃধার বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময় বাবা বাড়ি থেকে ৭ লাখ টাকা দেয়া হয় নাহিদ হাসানকে। তারপরও যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে নাহিদ। সম্প্রতি জমি কেনার জন্য ১৪ লাখ টাকা দাবিতে প্রতিনিয়ত মারধর করে আসছিলেন তিনি। গত ১ মার্চ রাতে যৌতুকের জন্য মারধর করার এক পর্যায়ে চাকু নিয়ে তাকে খুন করতে যান নাহিদ। এ সময় গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তার মা তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: বিয়ের পাত্র দেখানোর কথা বলে খুলনায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’
স্বামীর অত্যাচার থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেন ভুক্তভোগী আঁখিমুনা।
এর আগে ৭ মার্চ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) এসআই সফুরা খাতুন খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে ঘটনার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এফআইআর নম্বর ও তদন্ত কর্মকর্তার নম্বর ওই দপ্তরে পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠান।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে হিমায়িত চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার পরিধি কমছে
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ জানান, নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রী আঁখিমুনা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে কিশোর গ্রেপ্তার