গোপালগঞ্জে করোনার টিকা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে যে ওষুধ ফ্যাক্টরি রয়েছে সেখানেই অথবা তার আশপাশে টিকা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এটা করতে কিছু সময় লাগবে তবে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে।’
শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজ বাসভবনে কঠোর লকডাউন পালনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দেশে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টি আগ্রহের সাথে নিয়েছি। ইতোমধ্যে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কয়েকটি বৈঠক করেছি, তাদের সঙ্গে আলাপ করে একটা প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে করোনার টিকা চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে দুই পক্ষের সম্মতিতে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। সেখান থেকেও আমরা ভ্যাকসিন পাব। চায়না ও রাশিয়াকেও সম্মতি দিয়েছি আমাদের দেশে ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য। খুব শিগগিরই মডার্না থেকেও আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২২.৫০ শতাংশ
লকডাউন দেশের অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি করে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লকডাউন চাই না। লকডাউন দেশের অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি করে। এটা আমাদের কাম্য নয়। কিন্ত্র মানুষের জীবন রক্ষার্থে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লকডাউন দিতে হচ্ছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউনের ওপর নির্ভরশীলতা নয়, হাতে ভ্যাকসিন না থাকলে লকডাউন দিতে হয়। আমরা লকডাউন নির্ভর হতে চাচ্ছি না। আমরা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্যানডামিককে নিয়ন্ত্রণের আনতে চাচ্ছি।
‘যদি আপনার হাতে সংক্রমণকে রোধ করারর জন্য ভ্যাকসিন না থাকে লকডাউনই একমাত্র কার্যকরী পন্থা। বিশ্বের সকলেই লকডাউন দিয়েই করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে এবং যারা ভ্যাকসিন নিয়েছে তারাও লকডাউন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশে থেকে যে সংখ্যায় আমরা ভ্যাকসিন চাই সে সংখ্যা পাই নাই। ভারতের সাথে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করেছিলাম পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ এবং উপহার হিসেবে পেয়েছি ৩০ লাখ। এই নিয়ে ১ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী ডিসেম্বেরে মধ্যে প্রায় ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে পেতে পারি। যদি পাই আমরা প্রায় ৫ কোটি মানুষকে দিতে পারব। তবে এটা পাওয়া সাপেক্ষে।