চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ের পশ্চিম মোহরা এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার প্রতিবেশি দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার ভোরে পার্শ্ববর্তী গোলাপের দোকান মাজার গেইটে নির্মাধীন ভবনের রুমের মাটি খুঁড়ে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. শফিউল ইসলাম রহিম (১১) ওই এলাকার সেলিম উদ্দীনের ছেলে। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে চুরির অপরাধে কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই সড়কর চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) এবং পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। আজম খানকে নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে এবং তার সহযোগী মুজিবুর দৌলা হৃদয়কে বাকলিয়ার বলীরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির প্রতিবেশি আজম খান ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে এবং ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আজম খান আমাদের কাছে স্বীকার করেছে সে এক মাস আগে থেকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছে। শুধু কি টাকার জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে নাকি অন্য কোনো মোটিভ আছে তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। নিখোঁজের পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওইদিনই ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত প্রতিবেশি আজমকে শনাক্ত করা হয়। ওই দিনই নিখোঁজ শিশু ও আজমকে একসঙ্গে দেখা যায়। বুধবার আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আজম খান শিশু শফিউলকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেখানো তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোরে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আজমের বন্ধু মুজিবুর দৌলা হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার