চাঁদপুরে বিরল টিউমার নিয়ে মোহাম্মদ নামে এক শিশুর জন্ম হয়েছে। ১৫ দিন বয়সী এই নবজাতকের এমন বিরল প্রজাতির টিউমার দেখে তার মা তাসলিমা আক্তার ওই নবজাতককে রেখে বাপের বাড়ি চলে গেছেন।
এদিকে এই নিষ্পাপ অবুঝ শিশুকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন দ্বার প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার অসহায় চাচা ও ফুফুরা।
আরও পড়ুন:সিলেটে কবরস্থানের পাশের ড্রেনে মিলল নবজাতকের লাশ
জানা যায়, চাঁদপুর সদরের ও শহরতলীর দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকার মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গর্ভ থেকে এই মোহাম্মদ নামের শিশু জন্মগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: কন্যা শিশু জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার
শিশুর বড় চাচা সুমন গাজী জানান, তার দিনমজুর ছোট ভাই মিলন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগমের গত ১৩ মে চাঁদপুর মা ও শিশু হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর পরই চিকিৎসকরা ওই শিশুর পেটের সাথে সংযুক্ত এই বিকলাঙ্গ, বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখতে পান। সবাই অবাক ও বিস্মিত হয়ে যান! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, শিশুটির এমন বিকলাঙ্গ বিরল প্রজাতির টিউমারটি দেখে গর্ভধারিনী মা তাসলিমা আক্তার এক ফাঁকে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখেই তার বাপের বাড়ি চলে যায়। পরে শিশুর স্বজনরা শিশুটিকে বাঁচানোর চেষ্টায় এখান থেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন:প্রসবের পর নবজাতককে বাঁশঝাড়ে ফেলে গেলেন মা
সুমন গাজী আরও জানান, শিশু হাসপাতালের এক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জানিয়েছেন, শিশুটির পেটের সাথে সংযুক্ত বিরল প্রজাতির বিকৃত আকারের যে অংশটি রয়েছে, সেটি হচ্ছে ক্যাস্ট্রোলা টিউমার। ভালো এবং উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তার অপারেশন করালে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হতে পারে। তবে এতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক তাদেরকে ওই হাসপাতলে শিশুটিকে তিন মাস রেখে চিকিৎসা করানোর পর তার অপারেশন করানো যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের আথির্ক সামর্থ্য না থাকায় তারা শিশুটিকে সেখান থেকে পুনরায় চাঁদপুরে নিয়ে আসেন। এখানে তারা শিশুটিকে নিয়ে কখনো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কখনো বিভিন্ন চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এই বিরল প্রজাতির টিউমার নিয়ে জন্মানো শিশুটির পরিবারের আবেদন, কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি শিশুটির চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতার হাত দয়া করে বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করেন, তাহলে হয়তো সঠিক চিকিৎসা সেবা ও অপারেশনের মাধ্যমে এই নিষ্পাপ শিশুটি কে বাঁচানো সম্ভব হবে।
আর্থিক সহযোগিতার জন্য ০১৮২৫১৭৫৪১১ এই বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানো এবং যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন অসহায় পরিবারটি।
যোগাযোগ করলে, স্থানীয় চাঁদপুর পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।