এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় শনিবার মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত আনারুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রামবাসী জানান, একই গ্রামের আনারুল ইসলাম ভুক্তভোগীর স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আনারুল ওই নারীর স্বামী কে প্রায়ই জুয়ার আসরে টাকা ধার দিত। এক পর্যায়ে ধারের পরিমাণ বেড়ে যায়। ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ওই জুয়াড়ি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পাওনা টাকার অজুহাতে আনারুল ইসলাম ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে। একদিন বাড়িতে স্বামী না থাকার সুযোগে রাতে আনারুল ইসলাম নারীর ঘরে ঢুকে তাকে জোর করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তিন মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছিল।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুকে পুনর্বাসনসহ ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর ভিকটিমের স্বামী বাড়ি ফিরলে তাকে জমি বন্ধক রাখার কথা বলে আনারুল রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে সাড়ে সাত শতক জমিও দলিল করে নেয় আনারুল। এক পর্যায়ে তার ঘরে তালা দিয়ে ঘর দখল করে নেয়। এ ঘটনায় নিকটস্থ ধুবনী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করতে গেলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কম্বল দেয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
শনিবার রাতে এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে আনারুল ইসলামকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই পুলিশ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আরও পড়ুন: চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টা: সহকারীর পর এবার বাস চালক গ্রেপ্তার
সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুলাহিল জামান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার আনারুল ইসলামকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।