তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যারিয়ারটি বিকল হওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত মেরামতের জন্য জানানো হয়েছে।’
রবিবার রাতে সরেজমিনে শহরের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন গেইটে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার দক্ষিণ পাশে গেট ব্যারিয়ার ফেলা হলেও উত্তর পাশে ব্যারিয়ার ফেলা হয়নি। এতে করে উত্তর পাশে যানবাহন ও যাত্রীরা প্রায় ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ট্রেন লাইনের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ হাত দিয়ে যানবাহন থামানোসহ যাত্রীদের লাইনে ক্রসিং না করার জন্য বাধা দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ‘কয়েক দিন ধরেই দেখছি এক পাশের গেট ব্যারিয়ার ফেলা হলেও অন্য পাশে গেট ব্যারিয়ার ফেলে না। কেন ফেলছে না কিছু জানায়নি। এমন ঘটনা এর আগেও হয়েছে। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও সমস্যা দেখা দেয়।’
কাভার্ডভ্যান চালক ফেরদাউস বলেন, ‘ট্রেন আসছে কিন্তু গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। পরে স্থানীয় লোকজন হাত ইশারা দিয়ে গাড়ি থামাতে বললেন। যতক্ষণে গাড়ি থামিয়েছি ততক্ষণে প্রায় লাইনের কাছে চলে যাই। পরে গাড়ি পেছনে নিয়ে নির্দিষ্ট নিরাপদ দূরত্বে থাকি।’
পথচারী কাসেম মিয়া বলেন, ‘ট্রেন আসার প্রায় ৫-১০ মিনিট আগেই গেট ব্যারিয়ার ফেলে রাখে। কিন্তু গতকাল রাতে সেটা করেনি। ট্রেনও আসছে আমিও রাস্তা পার হচ্ছি। মানুষ ডাকছিল কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না যে আমাকেই ডাকছে। পরে একজন হাত ধরে টান দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘১নং রেল গেইট একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এছাড়াও বিভিন্ন পণ্যবাহী ও গণপরিবহনসহ রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি ও সাইকেলে যাতায়াত করে। এখানে একটি গেট ব্যারিয়ার নষ্ট মানে ঝুঁকির আশঙ্কা। দ্রুত এ গেট ব্যারিয়ার মেরামত করা হোক। অন্যথায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে গেট ব্যারিয়ারের চেইন ছিড়ে যায়। যার ফলে ব্যারিয়ারটি ফেলা যাচ্ছে না। মূলত একটি হাতল দিয়ে ঘুরিয়ে দুটি ব্যারিয়ার নামানো উঠানো হতো। এখন চেইনটি ছিড়ে যাওয়ার একটি কাজ করলেও অন্যটি ফেলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে এটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। দ্রুত এটি ঠিক করা হবে।