এ নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম দফায় পতাকা বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দিয়েও হাজির হয়নি বিএসএফ। পরে বিকাল সাড়ে ৪টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকে তারা বিজিবিকে জানায়, অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশে দেয়া হয়েছে।
তবে, বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশিকে পদ্মা নদী থেকে ধরে নিয়ে গেছে। জবাবে কেবল দুঃখপ্রকাশ করে বিএসএফ।
রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিজিবির সাথে দুই দফা বৈঠকের পরও রাজশাহী সীমান্ত হতে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।’
শুক্রবার পদ্মা নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচজনের মুক্তি চেয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায় বিজিবি। কিন্তু তাতে তারা সাড়া দেয়নি। পরে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নির্মল চরের সীমান্ত পিলার নং ৫৩/২/এস এর কাছে পতাকা বৈঠক হবে।
ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘বিএসএফের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিজিবির প্রতিনিধিদল সেখানে হাজির হলেও আসেনি বিএসএফ। পরে আবারও তারা বিকাল সাড়ে ৪টায় পতাকা বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই বৈঠকে বিএসএফ জানায়, অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি পাঁচজনকে আটক করে মুর্শিদাবাদ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গেলে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। তারা হলেন- পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামের রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)।