ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর সংখ্যা দিনদিন কমতে শুরু করেছে। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ২৯৬ জন পাসপোর্ট যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফিরেছেন। অপরদিকে বাংলাদেশে আটকা পড়াদের মধ্যে ১২০ জন পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে ফিরে গেছেন।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরেছে ৮৮ জন আর ভারতীয় ফিরে গেছে মাত্র ৪ জন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাড়লেও রপ্তানি বাণিজ্যে ধস
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, বাংলাদেশ সরকার ভারতের করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে ২৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে করে ভারতে আটকা পড়ে কয়েক হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী। আটকা পড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের নিজ দেশে ফিরতে হলে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
তিনি বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ২৯৬ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরেছেন এবং বাংলাদেশে আটকা পড়া ১২০ জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বাড়ছে
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আসা এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের বেনাপোলে বিভিন্ন হোটেল, ঝিকরগাছা গাজিরদরগা এতিম খানায় ও যশোরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। যেসব যাত্রী করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে দেশে ফিরছেন তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের নতুন ধরনের করোনা যাতে বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্থলপথে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ১৪ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতে আটকে পড়া ১ হাজার ২৯৬ জন যাত্রী দূতাবাসের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফিরছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসার ডা. আশরাফুজজামান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার ১৪ দিন ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে যারা ভারতে আটকা পড়েছে শুধুমাত্র তারাই কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এছাড়া যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা দেশে ফিরছেন তাদের বাধ্যতামূলক বেনাপোলের কয়েকটি আবাসিক হোটেল, ঝিকরগাছার গাজিরদরগা এতিমখানায়, নড়াইল ও খুলনায় বিভিন্ন হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। ভারত থেকে আসা করোনায় আক্রান্ত ১৬ জন রোগীকে যশোর করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরকে ঘিরে সক্রিয় শক্তিশালী চোরাচালান সিন্ডিকেট
তিনি আরও জানান, ভারত ফেরত রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থায় হোটেলে রাখা হয়েছে, এবং তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি টিম কাজ করছে।