দুপুর ৩টায় নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে করে তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছান। এ নিয়ে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়াল।
এর আগে, সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ১৭৫৯ জন রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাদের মধ্যে ৪৪৫ জন পুরুষ, ৫১৬ নারী ও ৭৯৮টি শিশু রয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম বলেন, এক হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িতে করে ওয়্যার হাউজে সমবেত করা হয়। পরে সেখানে তাদেরকে ভাসানচরে বসবাসের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়। ব্রিফ শেষে তাদের ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় ঘাটে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজারের আরআরআরসি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দফায় কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গা। প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গেছেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে যান ১ হাজার ৮০৫ জন ও তৃতীয় ধাপে দুইদিনে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমদিন ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে। ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মাঝ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করার পরিকল্পনায় কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে বৈদেশিক মিশনকে সজাগ থাকতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের সফলতা তুলে ধরতে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান