মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কুমিল্লায় সংক্রমণের সাথে সাথে মৃত্যুও বাড়ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ জনই সিটি করপোরেশন এলাকার। এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নগরীর রাণীর বাজার মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা নুর মোহাস্মদসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজনও পুরুষ। তাদের বয়স ৬০ বছর। জেলায় এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯৮ জনের। নতুন ৩৮ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯২, মৃত্যু ৫
পুরো দেশের চিত্র
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার
স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫০ জন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য মিরপুর ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে সরকার
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।