করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মানবিক সহায়তা পেয়েছে ফরিদপুরের ৫ শতাধিক অসহায় মানুষ।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনায় সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় সহায়তা হিসেবে প্রত্যেকের হাতে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও এক কেজি করে ডাল ও লবন তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায়দের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিলেন ইউএনও
এ সময় ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আল আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বায়েজিদুর রহমান সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম দিনে সদর উপজেলার ৫ শত দরিদ্র মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ইতোপূর্বে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার উদ্ভাবিত ‘মানবিক সহায়তা কার্ডের’ মাধ্যমে বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও এ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দিল মালয়েশিয়া কমিউনিটি
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা জানান, করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চন্ডিপুরে অবস্থিত আশ্রায়ন কেন্দ্রের অসহায় মানুষের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিতরণ করা হয়েছে। মাচ্চর, কানাইপুর সহ আশ পাশের কয়েকটি আশ্রায়ন কেন্দ্রের ১১০ জন অসহায় মানুষকে চন্ডিপুর আশ্রায়ন কেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলের হাতে চাল, ডাল, তেল, লবন সহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের একটি প্যাকেট তুলে দেয়া হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা জেলার সকল দরিদ্র মানুষের হাতে পর্যায়ক্রমে তুলে দেয়া হবে। সোমবার সদর উপজেলার পাঁচ শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রায়ন কেন্দ্রে থাকা অসহায় মানুষের মাঝে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে প্রদত্ত মানবিক সহায়তাকে একটি সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার জন্য মানবিক সহায়তা কার্ড প্রস্তুত করে প্রকৃত দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের মাঝে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সহায়তা পেয়ে খুব খুশি রাবেয়া পারভীন। তিনি বলেন, এখন আর পরের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না। যা পেয়েছি তা দিয়েই আমার ১৫-২০ দিন চলে যাবে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনরকমে চলতাম। করোনাকালীন সময়ে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছিল। শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। করোনাকালীন সময়ে তিনি আমাদের গরীবের কথা মনে রেখেছেন।