যশোরের শার্শা উপজেলায় ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে (১৩) যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ সোমবার রাতে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক সাগর হোসেন (১৮) উপজেলার সোনাতনকাটি গ্রামের আখতারুল ইসলামের ছেলে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, শনিবার রাতে উপজেলার বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ‘পাকা বাহিনী’র নেতাসহ আটক ৩
সোমবার রাতে থানায় মামলা হলে ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাগর নামে একজনকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সাথে তিন জন যুক্ত ছিলেন।
তারা হলেন- সোনাতনকাটি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেন (১৮) ও কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫)।
ওসি জানান,বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামের ওই মেয়েটি (১৩)শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।এসময় ওই তিন যুবক তার মুখ চেপে ধরে পাশের পুকুর ধারের জঙ্গলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটির স্বজনদের হাঁকডাকে তারা পালিয়ে যায়।
মেয়েটির বাবা জানান,আমি গরিব ও ভ্যানচালক হওয়ায় ওরা আমাকে ঘটনা জানাজানি করলে জীবননাশের হুমকি দেয়।সোমবার রাতে সামাজিক বিচারের নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা একটি ঘরে আমাদেরকে আটকে রাখে।পরে পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে গিয়ে ভুয়া সাংবাদিকসহ আটক ৩
ওসি বদরুল আলম জানান, মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়| আটক সাগরকে আদালতের মাধ্যমে হাজতের পাঠানো হয়েছে।