সিলেট নগরীর পৃথক স্থান থেকে বুধবার ব্যবসায়ী-কিশোরীসহ তিন জন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গোলাপগঞ্জ উপজেলার খাটখাই গ্রামের উনু মিয়ার ছেলে ও পেশায় একজন সুপারি ব্যবসায়ী খালেদ আহমদ (৩৮), ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বড়বালকি গ্রামের মুজিবুর রহমান (৬৫) ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের ঝর্না আক্তার স্বর্ণা (১৩)।
এর মধ্যে নগরীর লালবাজারের আবাসিক হোটেল আল মিনার থেকে ব্যবসায়ীর, বাগবাড়ি থেকে বৃদ্ধের এবং বাগবাড়ির মদিনা আবাসিক এলাকা থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় গালাকাটা লাশ উদ্ধার
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর লালবাজারের হোটেল আল মিনারের ৪র্থ তলার ৪১৪ নম্বর কক্ষ থেকে ব্যবসায়ী খালেদ আহমদের লাশ উদ্ধার হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানান, খালেদ আহমদ ব্যবসার কাজে মঙ্গলবার বিকালের দিকে হোটেলে অবস্থান করেন। পরদিন বুধবার দুপুরে তাকে ডাকাডাকি করা হলেও সাড়া শব্দ মিলেনি। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে দরজা খুলে তার লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে নগরীর বাগবাড়ি বর্ণমালা পয়েন্টের শামসুদ্দিনের কলোনি থেকে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় বৃদ্ধ মুজিবুর রহমান লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, দুপুরে ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় মুজিবুরের লাশ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এছাড়া, একইদিন নগরীর বাগবাড়ি মদিনা আবাসিক এলাকার কলোনি থেকে কিশোরী ঝর্না আক্তার স্বর্ণার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাগলা নদীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
স্বর্ণার বাবা আবুল মিয়া পুলিশকে জানান, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাগবাড়ি মদিনা আবাসিক এলাকার একটি কলোনিতে তারা থাকতেন। তার মেয়ের মানসিক সমস্যা ছিল। বুধবার দুপুরে ঘরের ভেতরে স্বর্ণার নিথর দেহ ঝুলে থাকতে দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি মো. আলী মাহমুদ জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পৃথক তিনটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।