সিলেটে বন্যা কবলিতদের জন্য ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় জেলায় ১৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জের পাঁচটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আর কেউ এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি।
তিনি বলেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া ইউএনওদের সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য আরেক দফায় ১০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০০০ প্যাকেট শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগে ১২৯ মেট্রিক টন চাল ও ১০০০ শুকানো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
এছাড়া সিলেট সদর উপজেলার সাত ইউনিয়নে পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৩ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলায় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য সিলেট জেলা প্রশাসকের অনুকূলে ১শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এদিকে, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বুধবার সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. একে আব্দুল মোমেনের সিলেট যাওয়ার কথা রয়েছে। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকা পরির্দশন করবেন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেও সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
পাউবো বলছে, ২০০৪ সালের পর নদীর পানি কখনও এতোটা বাড়েনি। ১৮ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন, ২৩ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা বর্ষণে সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি