সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অবরোধ চলাকালে পুলিশের ধাওয়ায় এক যুবদল নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিএনপির দাবি, পুলিশের গাড়িচাপায় আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কনস্টেবলের মিস ফায়ারে ওসি আহত
নিহত জিল্লুর রহমান দিলু গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইলাইগঞ্জ গ্রামের মৃত ইলিয়াস মিয়ার ছেলে এবং গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক কর্মী নিহতের জেরে বুধবার সিলেটে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হরতালের ডাক দেওয়া হয়।
হরতালের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, পুলিশ হেফাজতে যুবদল কর্মী জিল্লুর রহমান নিহতের জেরে যুবদল বুধবার সিলেটে হরতাল ডেকেছে। আমরা এতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছি। এছাড়া হরতালের পাশপাশি বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী জানান, অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার যান গোলাপগঞ্জ যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ধাওয়া দেয়। এতে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন দুজন। পরে জিলুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আনা হয়। বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুর খবর আসে।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ জানান, জিল্লুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর তার মৃত্যুর খবর এসেছে।
জিল্লুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে তাকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সকালে জিল্লুরসহ কয়েকজন লালাবাজার এলাকায় পিকেটিং করছিলেন। এসময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানোর সময় জিল্লুরের মোটরসাইকেল একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিল্লুর মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য