সুনামগঞ্জ: সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ বাজার থেকে এক চা দোকানির মেয়েকে (১৩) তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার শিশুটির বাবা বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাশের রহমতপুর গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে আজাদ মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’
তিনি জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেতগঞ্জ বাজারে দোকানের দরজা ভেঙে আজাদ পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ওই মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এবং একাধিক স্থানে ধর্ষণ করে। সোমবার রাতে এক অটোরিকশাচালক শিশুটিকে আহত অবস্থায় কোর্ট পয়েন্টে থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
আরও সপড়ুন: নাটোরে ২ শিশুকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
‘স্টেজ প্রোগ্রামের’ কথা বলে ডেকে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫
রংপুর: জেলার তারাগঞ্জে ১৬ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাকে বুধবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার কিশোরীর মা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে ঘরে গিয়ে ধর্ষণ করে মিজানুর। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসার আগেই অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
পরের দিন ভুক্তভোগীর মা মামলা করলে পুলিশ মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে।
তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দেশের পরিস্থিতি
করোনাকালে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও শিশুদের জনসমাগমের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সময়ে ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২০’ শিরোনামে এ চিত্র তুলে ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদের আধেয় বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন এমজেএফের শিশু সুরক্ষা বিভাগের সমন্বয়ক রাফেজা শাহীন।
আরও পড়ুন: ২০২০ সালে ধর্ষণের শিকার ১২ গৃহকর্মী: বিলস্
সিলেটে বিয়ের আশ্বাসে তরুণীকে ‘ধর্ষণ’, যুবক লাপাত্তা
চলন্ত ট্রেনে প্রতিবন্ধীকে ‘ধর্ষণ’, রেল কর্মচারী আটক
পাঁচটি জাতীয় বাংলা দৈনিক এবং তিনটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার বিষয়ক সংবাদ পর্যালোচনা অনুযায়ী, গত বছর ৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনাকালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬২৬ শিশু এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৩৭ শিশুকে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, সদস্য সমাপ্ত ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ২০৮ জনকে গণধর্ষণ করা হয়। এর মধ্যে ধর্ষণের পরে ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে এবং অন্য ১২ জন আত্মহত্যা করেছে।
এছাড়াও, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনটি বলছে যে ১৬১ জন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১২ জন আত্মহত্যা করেছেন।
আসক আরও বলছে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় তিনজন নারী ও নয়জন পুরুষকে হত্যা করা হয়। এছাড়া ৬২৭টি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২০ জন ছেলেকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে এবং ২১ জন নারী অ্যাসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন।