ফেনী
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-হুমায়ুন হাছান রাকীব, আবদুর রহমান মানিক ও আবু তৈয়ব বাবলু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন চন্দ্র রায়। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত একজনকে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্ত ১৬ জন হলেন- মো. রাসেল, সোহাগ, আবু তৈয়ব বাবলু, মোশারফ হোসেন, রুবেল মিয়া, দিদার হোসেন রিপন, আলমগীর হোসেন বাবু, মাঈন উদ্দিন ঝিনুক, মো. জহির, নূর মোহাম্মদ জুয়েল জনি, সাফায়াত আহম্মদ পাটোয়ারী রাকিব, হাছান ইমাম, মো. সাফুল ইসলাম, মো. লোকমান হোসেন, সুমন চন্দ্র রায়, শরীফ প্রকাশ টিপু, তৌহিদ উল্যাহ, এনায়েত হোসেন রাজু।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ইউপি সদস্য হত্যা, নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরশুরাম থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে মুন্সিরহাটের উদ্দেশে বের হন মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া। রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে জগতপুর রোডের টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পিরোজপুর
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় হত্যা মামলার এক আসামিকে সোমবার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান। পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসিবুল ইসলাম কাঞ্চন (৩৫) পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামের আবু বক্কলের ছেলে ও নিহত রেজাউল করিম রিপন (৪০) জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার চর বলেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ও কে সি টেকনিক্যাল কলেজের অফিস সহকারী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বউ-ছেলেকে হত্যা মামলায় স্বামীসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর রেজাউল করিম রিপন তার নিজ বাড়ির চর বলেশ্বর থেকে ভ্যানযোগে পত্তাশী বাজারে যাবার সময় পরিবারিক বিরোধের জের ধরে একই এলাকার হাসিবুল ইসলাম কাঞ্চন হামলা চালায়। এ সময় তিনি রিপনকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত রিপনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার হাসি ওইদিনই ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেন।