খেলাধুলা
রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো জয়ের পর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার রদ্রি। ‘কন্ট্রোলিং’ মিডফিল্ডারই বটে!
ইউরোর এই আসরে সাত ম্যাচের সাতটিই জিততে দলের মূলত নাবিকের ভূমিকা পালন করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড। প্রতিটি ম্যাচের রাশ কোচ তার হাতে দিয়েছিলেন, আর নিখুঁতভাবে ম্যাচের গতি কমানো-বাড়ানো, চুলচেরা সব পাস, বল দখলে দলকে নেতৃত্ব দেওয়াসহ প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণগুলো মাঝমাঠেই নিষ্ক্রিয় করে দিয়ে স্পেনকে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়ন করে ছেড়েছেন এই ফুটবলার। তাই আসন্ন ব্যালন দ’র পুরস্কার জয়ে তার নামটি যে এবার ওপরের দিকেই থাকবে তা একপ্রকার নিশ্চিত।
তবে টটেনহ্যামের বেলজিয়ান ডিফেন্ডার ইয়ান ভেরতোঙ্গেন তাকেই আগামী ব্যালন দ’রের জন্য মনোনীত করে ফেলেছেন।
স্পেন ইউরো জেতার পর এক্সে ভেরতোঙ্গেন লেখেন, ‘রদ্রি, ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে।’
তবে ভেরতোঙ্গেনের কথা একেবারে অমূলক নয়। চলতি মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে দারুণ পারফর্ম করেও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রদ্রির ম্যানচেস্টার সিটি। তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জিতেছেন তিনি।
শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যাম ব্যালন দ’র জেতার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভিনির ব্রাজিল। টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের এই উইঙ্গারের পারফরম্যান্সও ছিল হতচ্ছাড়া।
এছাড়া জুড বেলিংহ্যামকে হারিয়েই ফাইনাল জিতে ইউরোর শিরোপা জয় করেছেন রদ্রি।
এই দুই তারকা ফুটবলার ছাড়াও ইউরোতে ফ্রান্স ও পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে, ইংল্যান্ড ও বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইন, ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ, জার্মানি ও রিয়াল মাদ্রিদের টনি ক্রুস, জার্মানি ও বায়ার্ন মিউনিখের জামাল মুসিয়ালা, জার্মানি ও বায়ের লেভারকুজেনের ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের মতো সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপা জয় করেছেন রদ্রি। ফলে আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টটি তাকে অনেক প্রতিযোগীর থেকে এগিয়ে দেবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
কারণ ব্যালন দ’র জিততে আন্তর্জাতিক ট্রফি কতটা ভূমিকা রাখে, তা এর আগে বহুবার দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। এমনকি শুধু বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকা জিতে ২০২২ সালে রেকর্ড অষ্টমবারের মতো এই পুরস্কারটি ঘরে তোলেন ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমানো আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো লিওনেল মেসি।
তাই, ২০২৪ সালের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে রদ্রির নাম ঘোষণা করা হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
৫৩২ দিন আগে
পেলের রেকর্ড ভেঙে একগাদা রেকর্ডে লামিন ইয়ামাল
স্বপ্নীল এক টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ইউরোর চলতি আসর শেষ করলেন স্পেনের ১৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লামিন ইয়ামাল। ইউরোপসেরার এই আসরে পা দিয়েই রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর ভাঙতে-গড়তে থাকেন একের পর এক রেকর্ড।
রেকর্ডের মালা গড়ে এবার তিনি ভেঙে দিয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি পেলের একটি বিরল রেকর্ড। ৬৬ বছর আগে পেলের ওই রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছেন স্কুলের হোমওয়ার্ক নিয়ে ইউরোয় খেলতে আসা লামিন।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ফাইনাল খেলেন পেলে। সেদিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন। এরপর প্রথম সারির কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তার চেয়ে কম বয়সে কেউ ফাইনাল ম্যাচে অংশ গ্রহণ করেনি।
তবে ২০২৪ সালের ইউরো ফাইনালের আগের দিন ১৭ বছরে পা দেন লামিন। ফলে ১৭ বছর ১ দিন বয়সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলে পেলেকে বহু পেছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচটি ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইউরো জয়ের রেকর্ডও গড়েছেন লামিন।
এর আগে, ইউরোর সদ্যসমাপ্ত আসরে নাম লিখিয়েই ইউরোর ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার বনে যান লামিন। এরপর একের পর এক রেকর্ড ভেঙে নিজের নামে তা গড়তে থাকেন তিনি।
আসরের প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর একাদশে থেকে মাঠে নেমেই সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে ম্যাচ শুরু করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
এরপর ওই ম্যাচেই তৃতীয় গোলে দানি কারভাহালকে অ্যাসিস্ট করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অ্যাসিস্টদাতা বনে যান তিনি। এরপর আরও তিনটি অ্যাসিস্ট করলেও পাচ্ছিলেন না গোলের দেখা। তবে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তার সে আক্ষেপ ঘুচে যায়।
লিওনেল মেসির মতো আইকনিক বাঁকানো শটে গোল করে দলকে ফাইনালে তোলেন সেই সময়ের ১৬ বছর বয়সী এই কিশোর। সঙ্গে সঙ্গে ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।
এরপর ফাইনাল খেলতে মাঠে নেমেই ফের আরও এক ‘সর্বকনিষ্ঠ’ হওয়ার রেকর্ড, শিরোপা জিতে আরও একটি এবং টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়ে আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি।
শুধু তাই নয়, এই আসরে চারটি অ্যাসিস্ট ও একটি গোল করে মোট পাঁচ গোলে অবদান রেখেছেন লামিন। ১৯৮০ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে কেউ এক আসরে এত বেশি অ্যাসিস্ট করতে পারেননি, সেটিও আবার সবচেয়ে কম বয়সে।
লামিনের আগে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে কেউই কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল- তিন ম্যাচেই গোল তৈরিতে জড়িত ছিলেন না।
তাই অনুমিতভাবেই সদ্য শেষ হওয়া ইউরোর সেরা তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী এই বিস্ময়বালক।
৫৩২ দিন আগে
ইউরো গোল্ডেন বুট নিয়ে বিরল ঘটনা দেখল বিশ্ব
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো আসরে সেমিফাইনাল পর্যন্ত তিন গোল করে মোট ছয় ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘গোল্ডেন বুট’ জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ও স্পেনের দানি অলমোর ফাইনালে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে কেউ তা না পারায় বিরল এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।
ছয়জনকেই যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।
এই ছয় ফুটবলার হলেন- স্পেনের দানি ওলমো, ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্লোভেনিয়ার ইভান শারাঞ্জ ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে।
অবশ্যই এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। এ বিষয়ে তারা বলেছিল, গোল সমান হলে এবার সবাইকে যৌথভাবে গোল্ডেন বুট দেওয়া হবে।
এর ফলে ইউরোর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসরে ছয় জন জিতলেন এই পুরস্কার।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ইউরোর পর চলতি আসরেই সর্বনিম্ন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোল দেখল ফুটবলবিশ্ব। সেবারও তিনটি করে গোল করেছিলেন স্পেনের ফের্নান্দো তোরেস, জার্মানির মারিও গোমেস ও রাশিয়ার আলান জাগুয়েভের। তবে সবচেয়ে কম ম্যাচে তিন গোল করে এগিয়ে থেকে গোল্ডেন বুট জেতেন তোরেস।
ইউরোর গত আসরে টুর্নামেন্ট-সর্বোচ্চ পাঁচটি করে গোল করেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক। উয়েফার ওই আসরের নিয়ম অনুযায়ী, গোলের পাশাপাশি বেশি অ্যাসিস্ট থাকায় গোল্ডেন বুট জেতেন রোনালদো।
ওই নিয়ম এবারও চালু থাকলে গোল্ডেন বুট পেতেন অলমো। তিন গোলের পাশাপাশি দুটি অ্যাসিস্টও রয়েছে তার নামের পাশে। ফলে সর্বোচ্চ পাঁচ গোলে সহায়তা করায় তার হাতেই উঠত পুরস্কারটি।
তবে পাঁচ গোলে সহায়তা করার রেকর্ড শুধু অলমোর একার নয়। চার অ্যাসিস্ট ও একটি গোল করে যৌথভাবে এ রেকর্ডের মালিক তারই সতীর্থ লামিন ইয়ামাল।
ইউরোর এ আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টও সদ্য ১৭ বছরে পদার্পণ করা টুর্নামেন্টের এ সেরা তরুণ ফুটবলারের। তার নিচে দুটি করে অ্যাসিস্ট নিয়ে আছেন মোট ১২ জন।
৫৩২ দিন আগে
ইউরোর ফাইনালে ম্যাচজুড়ে যা হলো
ফাইনাল ম্যাচের আগে স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলেছিলেন, ভালো ফুটবল খেললেও এখনও কিছুই অর্জন করেননি তারা। নবযুগ শুরু করতে হলে তাদের অবশ্যই শিরোপা জিতে দেখাতে হবে।
ইউরোর ফাইনালে কোচের সে কথাই যেন সার্থক প্রমাণ করে ছাড়লেন তার শিষ্যরা। নান্দনিক ফুটবলে নিজেদের তৈরি করা পরিচয় ধরে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেল স্পেন। সেইসঙ্গে রক্ষণ, মাঝমাঠে খেলার নিয়ন্ত্রণ, গতির ওঠানামা- ম্যাচে যখন যা প্রয়োজন করে দেখালেন রদ্রি-অলমোরা। আর এইসব কলাকৌশলের মধ্যে হারিয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সমস্ত প্রচেষ্টা।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। এতেই কপাল পুড়েছে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ডের।
গতবার ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারলেও এবার নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ইংল্যান্ড। ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। কিন্তু স্পেনের অসাধারণ ফুটবলের কাছে ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিতে হয়েছে হ্যারি কেইন-বেলিংহ্যামদের।
পুরো ম্যাচজুড়ে ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে মোট ১৬টি শট নেয় স্পেন, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল, ৫টি ছিল বাইরে এবং বাকি পাঁচটি শট ইংল্যান্ডের রক্ষণে প্রতিহত হয়। অপরদিকে, ৩৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৯টি শট নিলেও তার চারটি লক্ষ্যে রাখে ইংল্যান্ড; বাকি দুটি ছিল পোস্টের বাইরে।
সেমিফাইনালে একাদশের গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্যকে হারালেও ফাইনালে পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামে স্পেন। এছাড়া ইনজুরির কারণে পেদ্রি মাঠে নামতে না পারলেও তার জায়গাটি ভালোভাবে পূরণ করেছেন দানি অলমো।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে স্পেন, আর শরীরী ফুটবলে রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে বল নিয়ে কিছুতেই ইংলিশদের ডি বক্সের সামনে যেতে পারছিল না লা রোহা। দলীয় প্রচেষ্টায় এসময় প্রায় শতভাগ বল দখলে রেখে একের পর এক চেষ্টা করতে থাকে তারা। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটে ৭৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে স্পেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রথম আক্রমণটি আসে একাদশ মিনিটে। বাঁ পাশে সতীর্থের পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন নিকো উইলিয়ামস। তবে শেষ মুহুর্তে তার শট প্রতিহত করে দেন জন স্টোনস। পরে কর্নার থেকে স্পেন আরও একবার চেষ্টা করলেও সেটিও প্রতিহত করে ইংল্যান্ড।
চতুর্দশ মিনিটে উইলিয়ামসের আরও একটি ক্রস বক্সের মধ্যে যায়। তবে জায়গামতো সতীর্থদের কেউ না থাকায় সেটি ব্যর্থ হয়।
পরের মিনিটে প্রথম আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড। ডান পাশ দিয়ে স্পেনের বক্সে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেওয়ার চেষ্টা করেন কাইল ওয়াকার। তবে কর্নারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করেন আইমেরিক লাপোর্ত। ১৭তম মিনিটে ইংল্যান্ডের আরও দুটি জোড়া প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৯তম মিনিটে স্পেনের ভালো একটি সুযোগ তৈরি হওয়ার আগেই তা নষ্ট করে দেন লুক শ। পরমুহুর্তে দানি কারভাহালের উড়ন্ত শট লাফিয়ে তালুবন্দি করেন জর্ডান পিকফোর্ড।
২৩তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের দূরের দুর্বল শট পিকফোর্ড ঠেকিয়ে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর ফের আক্রমণে ওঠেন তিনি। তবে এবার কর্নারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করেন ইংলিশ ডিফেন্ডাররা। এর পরের মিনিটেই আক্রমণে উঠে জটলার ভেতর থেকে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চায় ইংল্যান্ড। তবে দলকে বিপদমুক্ত করেন মার্ক কুকুরেইয়া।
২৫তম মিনিটে স্পেন পাল্টা আক্রমণে উঠতে গেলে মাঝমাঠে ফাবিয়ান রুইসকে বাজেভাবে ফাউল করে কার্ড দেখেন হ্যারি কেইন।
২৮তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে স্পেন। তবে রুইসের শট বক্সের মধ্যে বুকায়ো সাকার পায়ে লেগে দুর্বল হয়ে গেলে তা সহজেই তালুবন্দি করেন পিকফোর্ড।
৩০তম মিনিটে ‘ওয়ান টাচে’ স্পেন দারুণ একটি আক্রমণে ওঠে, তবে একটি ভুল পাসে সে আক্রমণ নষ্ট হয়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠতে গিয়ে ডেকলান রাইসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে গিয়ে বাজে ফাউল করে বসেন দানি অলমো, ফলে কার্ড দেখেন তিনিও।
৩৫তম মিনিটে জোড়া কর্নারে ভালো দুটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। তবে দুটিই রক্ষণে কাটা পড়ে। এর পরের দুই মিনিট মুহুর্মুহু আক্রমণে ইংলিশ রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় স্পেন। তবে দারুণ ডিফেন্সিভ পারফরম্যান্সে সেসব প্রতিহত করে দেয় ইংল্যান্ড।
৪৩তম মিনিটে মোরাতার দৌড় লক্ষ্য করে দারণ এক বল বাড়ান রুইস। বল ধরে মোরাতা এগোলেও পরে বক্সের মধ্যে দুই ইংলিশ ডিফেন্ডার তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
৪৫তম মিনিটে স্পেনের বক্সের সামনে থেকে কারভাহালের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সতীর্থকে পাস দেন জুড বেলিংহ্যাম, কিন্তু পরে স্প্যানিশ রক্ষেণে তা প্রতিহত হয়।
দুই মিনিট অতিরিক্ত দিলে ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। তা থেকে বক্সের মধ্যে ভালো একটি ক্রসও আসে, কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে ফোডেনের শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। এটিই প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের লক্ষ্যে রাখা প্রথম ও একমাত্র শট ছিল।
এরপর আর কেউ তেমন কেউ আক্রমণে না উঠলে গোলবার অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে পাঁচটি শট নেয় স্পেন, যার একটি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে, ইংল্যান্ডের তিনটি শটের ওই একটিই ছিল লক্ষ্যে।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে বড় দুঃসংবাদ পায় স্পেন। মাঝমাঠ থেকে ইংল্যান্ডের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন দলটির মাঝমাঠের প্রাণভোমরা রদ্রি। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাকে। বিরতির পরও তার আর মাঠে ফেরা হয়নি।
বিরতির পর রদ্রির পরিবর্তে মার্তিন জুবিমেন্দিকে খেলতে পাঠান লুইস দে লা ফুয়েন্ত। তবে মাঠে নেমেই এগিয়ে যায় স্পেন। সতীর্থের পাস ধরে বাঁ পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকেই জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন নিকো উইলিয়ামস। ফলে মাঠে নামার মাত্র ৭১ সেকেন্ড পরই এগিয়ে যায় স্পেন।
পরের মিনিটে আরও একটি প্রায় একইরকম আক্রমণ শানায় দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। তবে বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে দানি অলমোর শটটি গোলপোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৫০তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড। তবে অভিজ্ঞ কারভাহালের অসাধারণ দক্ষতায় সে আক্রমণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
এসময় থেকে বল দখলে রেখে গোলের সুযোগ তৈরিতে মনোযোগী হয় ইংল্যান্ড। তবে স্পেনের রক্ষণ ভেদ করতে না পেরে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল তারা।
৫৩তম মিনিটে দুর্দান্ত গতিতে স্পেন আক্রমণে উঠতে থাকে। তবে দলকে বাঁচাতে জুবিমেন্দিকে টেনে ধরে ফাউল করে কার্ড দেখেন স্টোনস।
গোল পেয়ে একের পর এক আক্রমণে ইংল্যান্ডকে দিশেহারা করে দেয় স্পেন।
৫৫তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোলে শট নেওয়া চেষ্টা করেন মোরাতা। তবে রক্ষণে তা কাটা পড়লে ওই মিনিটেই আরও একটি ভালো সুযোগ পান তিনি। কিন্তু সেটিও ইংলিশ রক্ষেণে প্রতিহত হয়।
পরের মিনিটেই নিকোর আরও একটি দুর্দান্ত শট কাছে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৫৯তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এরপর আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। তবে ফের স্প্যানিশ রক্ষণের তোপে পড়ে তারা।
এরইমধ্যে ম্যাচের এক ঘণ্টা পার হলে নিষ্প্রভ কেইনকে উঠিয়ে সেমিফাইনালের নায়ক অলি ওয়াটকিন্সকে মাঠে নামান সাউথগেট।
৬৩তম মিনিটে প্রথম সফল শট নেয় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের বক্সের বেশ বাইরে বল পেয়ে স্পেনের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে ঘুরেই জোরালো শট নেন বেলিংহ্যাম। তবে তার সেই শট স্পেনের বাঁ পাশের পোস্টের বেশ খানিকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়।
পরের মিনিটে একা হঠাৎ ওপরে উঠে যাওয়া ওয়াটকিন্সকে গোলমুখে উড়ন্ত ক্রস দেন এক সতীর্থ, তবে স্পেনের এক ডিফেন্ডারেই কাটা পড়েন তিনি।
৬৬তম মিনিটে দারুণ একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে স্পেন। লং পাসে হঠাৎ উঠতে থাকা লামিনকে বল বাড়ানো হয়। বল ধরেই বক্সের মধ্যে ঢুকে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে আইকনিক বাঁকানো শট নেন একদিন আগে ১৭ বছরে পদার্পণ করা লামিন। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সেই শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন পিকফোর্ড।
এরপর মোরাতাকে উঠিয়ে মিকেল ওইয়ারসাবালকে মাঠে নামান দে লা ফুয়েন্তে। এরপর পরপর দুটি আক্রমণে যায় স্পেন। ৭০তম মিনিটে রুইসের নেওয়া দ্বিতীয় শটটি বুলেট গতিতে পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
পরের মিনিটে টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ মিডফিল্ডার কোবি মাইনুকে তুলে আক্রমভাগে কোল পালমারকে নামান সাউথগেট। তিনি মাঠে নামার পরপরই দুর্দান্ত এক আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে স্প্যানিশ রক্ষণে সেটিও প্রতিহত হয়।
৭২তম মিনিটে একক আক্রমণে উঠে শট নেন ওইয়ারসাবাল। তবে তা ঠেকিয়ে দ্রুত পাস দিলেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে দলকে সমতায় ফেরান কিছুক্ষণ আগে মাঠে নামা পালমার।
ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলেও বক্সের মধ্যে ঢুকে দিশা না পেয়ে চকিতে বক্সের বাইরে আসা পালমারকে পাস দেন বেলিংহ্যাম। ফাঁকায় থাকা পালমারের দুর্দান্ত শটটি সিমোনকে পরাস্ত করে বাঁ পাশের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে গোলে নেওয়া প্রথম শটেই বাজিমাৎ করে ইংল্যান্ড।
৭৮তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি প্রচেষ্টা ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে প্রতিহত হয়, পরের মিনিটে আরও একটি।
৮২তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন পিকফোর্ড। দুর্দান্ত গতির সঙ্গে ছোট ছোট পাসে এগিয়ে গিয়ে বক্সের সামনে থেকে ভেতরে ঢোকা লামিনকে পাস দেন নিকো। তবে গোলরক্ষককে প্রায় একা পেয়েও ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে তা গোলে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হন লামিন।
এসময় ইংল্যান্ডকে একেবারে চেপে ধরে স্পেন। বক্সের সামনে বল নিয়ে হন্যে হয়ে গোলের সন্ধান করতে থাকে তারা।
৮৫তম মিনিটে দারুণ আরেকটি রক্ষণশৈলী দেখান পিকফোর্ড। ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বক্সের মধ্যে লামিনের বাড়ানো পাস তিনি শূন্যে উঠে ক্লিয়ার করেন।
তবে তিন মিনিট পর আর স্পেনকে আটকে রাখতে পারে না ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে বাঁ পাশে বক্সের মধ্যে এগোনো ওইয়ারসাবালকে পাস দেন কুকুরেইয়া। পাস ধরে প্রথম ছোঁয়াতেই বল গন্তব্যে পাঠিয়ে দেন রিয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে আবারও সমতায় ফিরেই এসেছিল ইংল্যান্ড। তবে মুহূর্তের মধ্যে ইংল্যান্ডের তিনটি দুর্দান্ত আক্রমণ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখতে সমর্থ হয় স্পেন।
এরপর অতিরিক্ত চার মিনিট যোগ করা হলে মাঝমাঠেই ইংল্যান্ডের আক্রমণগুলোর বেশিরভাগ নষ্ট করে দেয় স্পেন। এরপর আর সময় না থাকায় ২-১ ব্যধানের জয় নিয়েই সবাইকে ছাড়িয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে তারা।
এর ফলে নতুন দিনের ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ জিতে স্প্যানিশ ফুটবলের নবযুগের সূচনা করে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে আসরের সেরা তরুণ ফুটবলার হয়েছেন স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল। আর মাঝমাঠে থেকে প্রতিটি ম্যাচের রাশ নিজ হাতে ধরে রেখে টুর্নামেন্টসেরা ফুটবলার হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন স্পেনের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা সহ-অধিনায়ক রদ্রি।
এতদিন তিনবার করে শিরোপা জয় করে জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড ভাগ করছিল স্পেন। তবে এদিন জার্মানিকেও ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠল আধুনিক ফুটবল দিয়ে নতুন যুগ শুরু করা দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
৫৩২ দিন আগে
রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
তারুণ্য, অভিজ্ঞতা, গতি, কৌশল, ভাতৃত্ববোধ আর নান্দনিক ফুটবলের পসরা সাজিয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতেই যে নতুন দিনের ফুটবলের আভাস দিয়েছিল স্পেন, তা দিয়েই একের পর এক দলকে ধরাশায়ী করে শেষ পর্যন্ত ইউরোর শিরোপা উঁচিয়ে ধরল লা রোহা। এর ফলে বদল যাওয়া ফুটবলে নবযুগের সূত্রপাত করল লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোপসেরার মুকুট পরেছে স্পেন। টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে তারা।
অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠেও হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের। এর ফলে আরও দীর্ঘ হলো ইংল্যান্ডের ট্রফি জয়ের অপেক্ষা।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন চলতি আসরে দুর্দান্ত গতির ফুটবল খেলা নিকো উইলিয়ামস। এরপর ৭৩তম মিনিটে কোল পালমার চকিতে গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও স্পেনের আক্রমণেও তোড়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় তাদের রক্ষণের বাঁধ। ফলে ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে মিকেল ওইয়ারসাবালের গোলে এগিয়ে গিয়ে জয়ে ম্যাচ শেষ করে লাল জার্সির ‘ব্যান্ড অব ব্রাদার্স’।
টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে আসরের সেরা তরুণ ফুটবলার হয়েছেন স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল। আর মাঝমাঠে থেকে প্রতিটি ম্যাচের রাশ নিজ হাতে ধরে রেখে টুর্নামেন্টসেরা ফুটবলার হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন স্পেনের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা সহ-অধিনায়ক রদ্রি।
এতদিন তিনবার করে শিরোপা জয় করে জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড ভাগ করছিল স্পেন। তবে এদিন জার্মানিকেও ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠল আধুনিক ফুটবল দিয়ে নতুন যুগ শুরু করা দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
৫৩২ দিন আগে
মারামারি না হলেই বাঁচি: ফাইনালের আগে স্কালোনি
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়া ও উরুগুয়ের খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ফাইনাল ম্যাচটি নির্বিঘ্নে হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৬টায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে স্কালোনির আর্জেন্টিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ সময় ১০ জন নিয়ে খেলেও উরুগুয়েকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কলম্বিয়া। ওই ম্যাচের পর গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায় উরুগুয়ের ফুটবলাররা।
পরবর্তীতে অবশ্য খেলোয়াড়রা অভিযোগ করেছেন, গ্যালারিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার ও হামলা করায় তাদের রক্ষার্থে ছুটে গিয়েছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: ফাইনালের আগে যে ভয় পাচ্ছেন স্পেন কোচ
তবে ফাইনালে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না স্কালোনি।
ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আশা করব, ভক্তরা উদযাপন করবে। আমার সমস্ত হৃদয় দিয়েই এটি চাই আমি। শিরোপা জিতে শেষটা রাঙিয়ে সবাইকে উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়া দারুণ ব্যাপার হবে।’
এসময় উরুগুয়ের খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘খেলেয়াড়দের সবসময়ই আমি বাকিদের জন্য উদাহরণ হতে বলি। কিন্তু এ ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই কঠিন হয়ে যায়।’
‘আমি জানি না, এখানে কার বা কাদের দোষ ছিল, তবে পরিবারের সদস্যরা বিপদে পড়লে আপনি মরিয়া হয়ে তাদের রক্ষা করতে চাইবেন- এটাই স্বাভাবিক।’
কোপার চলতি আসর শেষেই অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোল করা আনহেল দি মারিয়া। ফলে ফাইনাল ম্যাচটিই নীল-সাদা জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।
তবে ফাইনালে দি মারিয়াকে শুরুর একাদশে দেখা যাবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চিত স্কালোনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জানি, এটি তার শেষ ম্যাচ। কিন্তু দলের জন্য যেটি সেরা সিদ্ধান্ত, আমি তা-ই নেব। সে যদি খেলার সুযোগ পায়, তাহলে বুঝতে হবে, দলে নিজের জায়গা সে নিজেই করে নিয়েছে। আর যদি তা না হয়, তাহলেও দলের জন্য সেটাই ভালো বলে বিবেচিত হবে।’
তবে দি মারিয়ার শেষটা যাতে সুন্দর হয়, সেই প্রত্যাশাও ঝরেছে তার কণ্ঠে, ‘আশা করব, সবকিছু যেন ঠিকঠাক থাকে আর আনহেল যেন ভালোভাবে তার ক্যারিয়ার শেষ করতে পারে।’
৫৩২ দিন আগে
ফাইনালের আগে যে ভয় পাচ্ছেন স্পেন কোচ
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, এরপরই ইউরোপসেরার শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে স্পেন ও ইংল্যান্ডের কোনো একটি দল। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ ফুটবল খেলে ফাইনালে উঠলেও প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট সমীহ করছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে।
তবে মাঠে সেরাটা বের করে আনতে নিজেদের পরিচয়ের দিকেই মনোযোগ দিতে চান ৬৩ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি মনে করেন, আক্রমণাত্মক ও নান্দনিক ফুটবল খেলে যে আত্মপরিচয় তৈরি করেছে তার দল, ফাইনালেও তা ধরে রাখতে পারলে শিরোপাজয় সহজ হবে।
দলীয় পারফরম্যান্সে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে টানা ৬ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে দে লা ফুয়েন্তের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া স্পেন। তবে সেমিফাইনালে একাদশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের অনুপস্থিতিতে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে তারা। ফলে শক্তি ও প্রতিভায় ভরা ফ্রান্সের সামনে বেশ ভুগতে হয় দলটির। ফাইনালে আবার যেন শিষ্যরা খেই হারিয়ে না বসে, সেই ভয়টাই পাচ্ছেন দে লা ফুয়েন্তে।
ফাইনালের চাপ, প্রত্যাশা ও নানা সমীকরণে মাঠের খেলায় বদলে যায় অনেক কিছুই। তবে নিজেদের হারিয়ে বসলেই বিপদ বলে মনে করছেন দে লা ফুয়েন্তে। তার আশা, নিজেদের পরিচিত ফুটবলই যেন খেলে শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সুন্দর ফুটবলের মধ্যে দিয়েই জিততে চায় স্পেন: দে লা ফুয়েন্তে
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি স্পেন হয়ে উঠতে না পারি, তাহলে কোনো সুযোগই নেই। নিজেদের উন্নতি করতে আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। রবিবারেও সে ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। তবে অবশ্যই নিজেদের পরিচয় ধরে রেখে।’
‘ফুটবলে বিভিন্ন কৌশল আছে, আছে শৈলীও। আমাদের সামনে প্রতিপক্ষও কোনো একটি কৌশলে খেলবে। তবে আমাদের পরিকল্পনা দৃঢ়, নিজেদের ফুটবলই খেলতে হবে।’
তবে মাঠের পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে, তাও মাথায় আছে দে লা ফুয়েন্তের।
‘আমরা অবশ্যই আমাদের সহজাত ফুটবল খেলব। তবে যদি (কৌশলে) কোনো পরিবর্তন আসে, তা খেলার বিশেষ কোনো পরিস্থিতির কারণে আসবে। এর মানে এই নয় যে, আমরা কৌশল পাল্টে ফাইনাল খেলছি।’
আরও পড়ুন: দলীয় ঐক্য ও তারুণ্যের চমকে ফ্রান্সকে বিদায় করে ফাইনালে স্পেন
চলতি ইউরো আসরে স্পেনই একমাত্র দল, যারা সবগুলো ম্যাচ জিতেছে। জয়ের এই ধারায় আক্রমণাত্মক, ছন্দময়, কার্যকর ও গতিময় আধুনিক ফুটবল উপহার দিয়েছে দর্শককে। ‘হাই প্রেসিং’ ও ‘ওয়ান টাচ’ ফুটবলে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আক্রমণে ওঠে দলটি। লুইস আরাগোনেস ও ভিসেন্তে দেল বস্কের পর লুইস দে লা ফুয়েন্তের হাত ধরে ফের এমন নান্দনিক ফুটবল উপহার দিচ্ছে স্পেন।
এই আসরে ছয় ম্যাচে মোট ১০৮টি শট নিয়েছে স্পেন, যার ৩৭টি ছিল লক্ষ্যে। এ থেকে গোল পেয়েছে ১৩টি। এর সবগুলো সংখ্যাই যে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টজুড়ে ইংল্যান্ডের মোট ৬৬টি শটের ১৯টি ছিল লক্ষ্যে।
পরিসংখ্যান থেকে দলদুটির কৌশল বিপরীতমুখী এবং ইংল্যান্ডকে কিছুটা দুর্বল বলে মনে হলেও নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ দে লা ফুয়েন্তে।
‘আমরা জানি, ফাইনালে কোনো ফেভারিট নেই। দুই দলের ভারসাম্যই সঠিকভাবে আছে। কে ফেভারিট তা জুয়াড়িরাই নির্ধারণ করুক।’
‘কারণ আমরা জানি, যদি নিজেদের সেরাটা না খেলতে পারি, তাহলে এতদিনের পরিশ্রম মূল্যহীন হয়ে যাবে। তবে আমি এও জানি যে, ছেলেরা সবাই জানে- মাঠে কী করতে হবে। আর তারা সেটাই করবে।’
আরও পড়ুন: ইয়ামালের ইতিহাস গড়ার রাতে স্পেনে বিধ্বস্ত ক্রোয়েশিয়া
দারুণ ফুটবল খেলে এতদূর আসতে পেরে খুশি দে লা ফুয়েন্তে। দলকে ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দিতে চান তিনি।
‘যেভাবে আমরা ফাইনালে উঠেছি, তাতে আমি গর্বিত। এখানে পৌঁছাতে কেউই আমাদের ছেড়ে কথা বলেনি। তাই গর্ববোধ করার অধিকার আমাদের আছে।’
ভালো ফুটবল খেললেও এই দলটি এখনও কিছু জিতে দেখাতে পারেনি। তাই ফাইনালকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন কোচ।
‘অসাধারণ একটি প্রজন্ম এটি। আমাদের বর্তমান আলোকিত, ভবিষ্যতও উজ্জ্বল। আমরা ইতিহাস গড়তে চাই। জাতীয় দলের সবাই যখন দেশের প্রতি নিবেদিত থাকে, তখন ব্যাপারটি দারুণ হয়। স্পেনকে ইউরোর ইতিহাসের সেরা দলে পরিণত করার সুযোগ আছে এই দলের সামনে।’
ইতোমধ্যে তিনটি শিরোপা জিতে জার্মানির সঙ্গে সর্বোচ্চ ইউরো জয়ের রেকর্ড ভাগাভাগি করছে স্পেন। রবিবারের ফাইনাল জিতলে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেবে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
অপরদিকে, ফুটবলের আঁতুরঘর হলেও ইউরোপসেরার মুকুট কখনও পরা হয়নি ইংল্যান্ডের। গতবার ইতালির কাছে ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে তীরে গিয়েও তরী ডোবে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যদের।
তবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এবারও ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। গতবারের ভুলভ্রান্তি ঘুচিয়ে তাই এবার ইউরো শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চাইবে তারাও।
৫৩২ দিন আগে
ব্যালন দ’র: ভিনিসিউস, বেলিংহ্যামকে ফেভারিট মনে করেন না কারভাহাল
লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতায় দলটির দুই তারকা খেলোয়াড় ভিনিসিউস জুনিয়র ও জুড বেলিংহ্যামকে এ বছরের ব্যালন দ’র পুরস্কারের জন্য ফেভারিটের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন অনেকেই। তবে রিয়াল মাদ্রিদের দানি কারভাহালই তার সতীর্থদের এ বছর এই পুরস্কারের জন্য ফেভারিট মনে করেন না।
ব্যালন দ’রের জন্য তিন ফেভারিটের মধ্যে ভিনি, বেলিংহ্যামকে দেখছেন না ৩২ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদের এই স্প্যানিশ ফুলব্যাক। তবে তার পছন্দের সেরা পাঁচ ফুটবলারের মধ্যে তারা আছেন বলে জানিয়েছে স্পেনের ফুটবল সাময়িকী ফুতবল এস্পানিয়া।
যদিও ব্যালন দ’রে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই কারভাহালের। তবে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, নিজেদের সেরাদের কাতারে রাখতে গত মৌসুমে তারা (ভিনি, বেলিংহ্যাম) যথেষ্ট কাজ করেছে। তবে (ব্যালন দ’রে ভোট দিতে পারলে) আমার পাঁচ পয়েন্টের তিন পয়েন্টই আমি দেব রদ্রিকে। আর এক পয়েন্ট দেব হোসেলুকে।
আরও পড়ুন: শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
উল্লেখ্য, জমজ বোনকে বিয়ে করায় হোসেলু কারভাহালের ভায়রা। তবে এসবের ওপরে তিনি ফুটবলকে স্থান দেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, ক্লাবের হয়ে আলো ছড়ালেও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মোটেও ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি ভিনিসিউস জুনিয়র। চলমান কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উরগুয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
তবে, বেলিংহ্যাম উঠেছেন ইউরোর ফাইনালে। গ্রুপ পর্বের খুব বেশি আশার সঞ্চার করতে না পারলেও কোনোমতে নকআউট পেরিয়ে, সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে বেলিংহ্যামদের ইংল্যান্ড।
অপরদিকে, গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগ জিতে টানা চার মৌসুম ধরে লিগ শিরোপা ধরে রেখেছে পেপ গার্দিওয়লার ম্যানচেস্টার সিটি। রদ্রি দলটির অধিনায়ক। এছাড়া চলমান ইউরো জয়ের দৌড়ের বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন তিনি।
আজ রাত একটায় রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে রদ্রি-কারভাহালের স্পেন।
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
৫৩২ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেট দল
অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়া সফর করছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে দলটি।
দলের সঙ্গে আছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। তিনি এই সফর তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলেও উল্লেখ করেন হান্নান।
এই সফরে বাংলাদেশ এইচপি চার দিনের দুটি ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের মুখোমুখি হবে এবং ওয়ানডেতে পাকিস্তান শাহিনস এবং নর্দার্ন টেরিটরি দলের বিপক্ষে খেলবে।
প্রথম চার দিনের ম্যাচ শুরু হবে ১৯ জুলাই। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচ হবে ২৬ জুলাই। ওয়ানডে হবে ১ ও ৬ আগস্ট। আগামী ১১, ১২, ১৪, ১৫, ১৬ ও ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মোট ২৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে এই সফরের জন্য আলাদা স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আম্পায়ার হওয়ার ইচ্ছা সাথিরা জাকিরের
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এইচপি স্কোয়াড:
তিন দলেই আছেন পারভেজ হোসেন ইমন, আরিফুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মুকিদুল ইসলাম, রিপন মন্ডল ও মারুফ মৃধা।
চার দিনের ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলোয়াড়: এসকে পেভেজ রহমান জীবন।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: তানজিদ হাসান, জিসান আলম, আফিফ হোসেন (ওয়ানডে অধিনায়ক), শামীম হোসেন, আকবর আলী (টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, ওয়ানডে দলের সহঅধিনায়ক), ওয়াসি সিদ্দিক, আবু হায়দার রনি ও মাহফুসুর রহমান রাব্বি (টি-টোয়েন্টি দলের সহঅধিনায়ক)।
শুধু চার দিনের ক্রিকেট খেলোয়াড়: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় (অধিনায়ক), অমিত হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু (সহঅধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আইচ মোল্লা, রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মুরাদ।
শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলোয়াড়: আলিস ইসলাম
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে বিসিসিআইয়ের বাড়তি বোনাস ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসিত রাহুল দ্রাবিড়
৫৩৩ দিন আগে
অনূর্ধ্ব-১৮: মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপাজয়ের দুয়ারে আবাহনী
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডানকে হারিয়ে চলতি মৌসুমের অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল লিগের শিরোপাজয়ের আরও কাছাকাছি পৌঁছেছে ঢাকা আবাহনী।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মাঠে ঢাকা মোহামেডানকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। এর ফলে টানা ষষ্ঠ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
বিপিএলের ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে ফর্টিস এফসি ১৩, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ৯, পুলিশ এফসি ৮ ও মোহামেডান এসসি ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
গত বুধবার বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা মিশনকে সহজ করে ফেলে আবাহনী। এখন চ্যাম্পিয়ন হতে বাকি দুই ম্যাচে তাদের দুটি ড্রই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন: সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ: ২০ আগস্ট শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ
এর আগে, ফর্টিস এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর পর শেখ জামালের বিপক্ষে ২-১, ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-০, রহমতগঞ্জের বিপক্ষে ৪-১ এবং বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জেতে দলটি।
এদিন প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আবাহনী। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একটি করে গোল করলে ম্যাচটি ৩-১ ব্যবধানে শেষ হয়।
দলের হয়ে আবাহনীর স্যামুয়েল রাকসাম, ইয়াসিন আরাফাত এবং মিলন হোসেন একটি করে গোল করেন। অপরদিকে, মোহামেডানের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সাজিদ আহমেদ।
৫৩৩ দিন আগে