টেস্ট ম্যাচ খেলা যখন শুরু হয় তখন সেটা ফয়সালা হওয়া পর্যন্ত চলতো। এক সপ্তাহ, ১০ দিন কোনো বিষয় ছিল না। কিন্তু এটা এক সময় এতো অবাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করে যে আজকের দিনের এই পাঁচ দিনে টেস্টে এসে সীমাবদ্ধ হয়।
আগের এই ধারা কে বলা হতো ‘সময়হীন’, টেস্ট মানে এক দল জেতা পর্যন্ত চলতো। ১৮৭৭ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত এই ধারায় অনেক টেস্ট খেলা হয়। এই ধারায় শেষ টেস্ট খেলা হয় ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যে। নয় দিন খেলার পর কোনো ফলাফল না হওয়ার পর খেলা শেষ করা হয়, কারণ ইংল্যান্ডের দেশে ফেরার জাহাজ ছেড়ে যাচ্ছিল তাদের ফেলে রেখে।
তবে আইসিসি একবার টেস্ট ওয়ার্ল্ড কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে এটা চালু করার কথা ভেবেছিল। বোঝা যায় কত প্রাচীনপন্থী এই সংগঠন। আজকের দুনিয়ায় কি টেস্ট চলতে পারে এই ধারায় ?
আগে কি ছিল?
আগে ছিল টেস্ট ম্যাচ আর তিন দিনের ইংলিশ কাউন্টি ম্যাচ। সেদিন আর নেই। যখন ওডিআই চালু হয় অস্ট্রেলিয়াতে -প্যাকার টিভি-রক্ষণশীলরা অনেক চেষ্টা করেছিল এক দিনের ম্যাচ বন্ধ করতেই। যারা এতে খেলেছিল তাদের আইসিসি নিষিদ্ধ পর্যন্ত করেছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেকেনি এই সব জারিজুরি। আজ ওডিআই প্রতিষ্ঠিত কিন্তু তাকেও ছাড়িয়ে গেছে টি-টোয়েন্টি। এখন কেউ কি ভাববে টি-টোয়েন্টি নিষিদ্ধ করার কথা? অর্থাৎ সময় পাল্টেছে।
এখন কি হওয়া উচিত?
টেস্ট ম্যাচ কেউ দেখে না, বুড়া আর শিশু ছাড়া কারণ কারো হাতে এতো ফালতু সময় নেই। তাছাড়া সব খেলাই বাণিজ্য ভিত্তিক। তার নিরিখে টেস্ট ম্যাচে এর পিছনে পাঁচ দিন পয়সা নষ্ট না করে ৩ দিনে নামানো হোক। ২ দিন হলে আরো ভালো, যারা ব্রাহ্মণবাদ মানে তারা দেখুক। সে দুনিয়া নেই তাই সে অচল এই দুইনিয়ার সাথে এই অচল পাঁচ দিনের ডাইনোসরের সমাপ্তি হলে ক্রিকেটের জন্য উত্তম। কিছু নাক উঁচু এলিট টেস্ট দেখে কিন্তু পাবলিক চায় টি-টোয়েন্টি অথবা বড় জোর ওডিআই-ই পাবলিকের জয় হোক।
আরও পড়ুন: ভারতে এতো ঝামেলা হচ্ছে কেন?