টসে হেরে খুলনা প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৭০ রানের কল্যাণে তুলে নেয় ১৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে সতর্ক শুরু করে চট্টগ্রাম। কিন্তু তারা পাওয়ারপ্লেতে দুই উইকেট সৌম্য সরকার (১২) এবং মোহাম্মদ মিথুনকে (৭) হারায়।
সৌম্যকে ফেরান শুভাগত হোম আর আল আমিনের শিকার হন মিথুন।
আরও পড়ুন: সেই মাশরাফির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং
খুলনা প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৬৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে খেলায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করে ফেলে। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করা লিটন দাশ ২৩ বলে ২৩ করে রান আউটের ফাঁদে পড়েন।
চট্টগ্রামের শেষ ১০ ওভারে দরকার ছিল ৯৪ রান। সৈকত আলীর ৪১ বলে অর্ধশতকের ওপর ভর করে তারা জয়ের বন্দরের দিকে পৌঁছেও যাচ্ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিরোপা থেকে ৬ রান দূরে তাদের থেমে যেতে হয়।
শেষ ১০ ওভারে চট্টগ্রামের আসে ৮৭ রান। শেষ ৬ বলে তাদের দরকার ছিল ১৬ রান। কিন্তু খুলনার শহিদুল ইসলাম দেন মাত্র ১০ রান এবং টানা দুই বলে তুলে নেন সৈকত ও মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেট।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মুশফিককে জরিমানা করল বিসিবি
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে চট্টগ্রামের দৌড় শেষ হয় ১৫০ রানে।
খুলনার পক্ষে শহিদুল দুই এবং আল আমিন, শুভাগত হোম ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট পান।
এর আগে, টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। প্রথম বলেই জহুরুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেন নাহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে মুশফিক বললেন, ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি হবে না
তারা ৮ রান করা ইমরুল কায়েসকে হারানোর পর পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে সংগ্রহ করতে পারে মাত্র ৪২ রান। নাহিদ তিন ওভারে ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট।
পরবর্তীতে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন বল মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে তুলে দিলে তার শিকারে পরিণত হয় ২০ বলে ২৫ করা জাকির হাসান।
প্রথম ১০ ওভার শেষে খুলনার ঘরে জমা হয় তিন উইকেটে ৬৩ রান।
আরও পড়ুন: মুহূর্তগুলো হয়ত ভুলেই যেতে চাইবেন মুশফিক
চতুর্থ উইকেট জুটিতে আরিফুল হক ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যোগ করেন ৪০ রান। উপরের সারিতে এসে ব্যাট করা আরিফ ২৩ বলে করেন ২১ রান।
আরিফ ফেরার পর শুভাগত হোম এসে ১২ বলে করেন ১৫ রান। তার সাথে মাহমুদুল্লার পঞ্চম জুটিতে আসে ৩৪ রান।
খুলনা শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায়। মাহমুদুল্লাহ ৮ চার এবং ২ ছক্কার মারে ৪৮ বলে অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে।
আরও পড়ুন: ফাইনালে সাকিবকে পাচ্ছে না জেমকন খুলনা
চট্টগ্রামের হয়ে নাহিদ ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে এবং মোসাদ্দেক ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট পান।