সেই সাথে বিশেষ আইনের মামলায় আদেশ বা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আপিল আদালত খোলার দিন আপিল দায়ের করা যাবে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে জারি করা এক স্মারকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত স্মারকটি শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের শনিবার আলোচনার পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দেশব্যাপী করানোভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলা ও এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ ও ১১ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সংকটময় সময় বিবেচনা করে ইতোমধ্যে যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন দেয়া হয়েছে বা যেসব দেওয়ানি মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়া হয়েছে, সেসব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
স্মারকে আরও বলা হয়, সব বিশেষ আইনের আওতাধীন মামলার আদেশ/রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টসহ সব আপিল আদালত খোলার তারিখে আপিল দায়ের করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি না থাকলেও আপিল দায়ের করা যাবে। তবে আপিল শুনানির আগে তা অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত আছেন।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ এবং সারা দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রথম দফায় এ ছুটি ২ এপ্রিল পর্যন্ত হলেও এটা এখন বেড়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে।