অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার দাবি করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার সকালে আদালতের অনুমতি নিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের অনুমতি নিয়ে রিটটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই অরেঞ্জের মতো ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
রিটে বাণিজ্যসচিব, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব, অর্থসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টসহ ছয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ই-কমার্স বাণিজ্যে জবাবদিহি নিশ্চিত ও গ্রাহকের অধিকারবিরোধী চর্চা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা বা ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে রিটে। এছাড়া ২০১৮ সালের জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
আরও পড়ুন: ‘ই কমার্স খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ জরুরি’
রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অনলাইন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠায় কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা জানিয়ে বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আরজি জানানো হয়েছে এই রিটে
দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা নিয়ে একটা অস্থির সময় যাচ্ছে। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ও ধামাকার মতো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী ও সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেলকে। মামলা হয়েছে ধামাকার মালিকদের বিরুদ্ধেও। এরই মধ্যে হাইকোর্ট রবিবার লোভ কমাতে গ্রহকদের সচেতন করার তাগিদ দেন।