এর আগে হল খোলাসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি মেনে নিলেও হল খোলার ব্যাপারে ‘রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা’ ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব না বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান জানান।
তার এই ঘোষণার পরেই দুপুরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তবে শিক্ষার্থীরা যাওয়ার পরেই ফের হলগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের অভিযোগে জাবিতে ১১ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
হল খুলে দেয়া ছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্য দাবি দুটি হলো- শুক্রবার এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীদের পুড়িয়ে দেয়া মোটরসাইকেলের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয়কে বহন করতে হবে।
বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে ১৬টি হলের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখা যায়। মেনে নেয়া দাবি দুটি হলো-আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ফটক নির্মাণ করা।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙেছে। তবে আমরা জেনেছি তারা হলে অবস্থান করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বৈঠক চলছে, এরপরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে ওপর মহলে আলোচনা হচ্ছে। সরকার যখন সিদ্ধান্ত দেবে, তখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এখানে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের উপর। শিক্ষার্থীদের হল খোলার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই।’
আরও পড়ুন: ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন হয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মিছিল, জমায়েত, আবাসিক হলের তালা ভাঙা; সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সকলকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।’
বেধে দেয়া সময় শেষ হওয়ার পরও আবাসিক হল খুলে না দেয়ায় ও উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফটক ভেঙে হল দখল করা শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে শুরু, আবেদন শুরু ৮ মার্চ
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি মিছিল ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে পৌঁছায়। এরপর শিক্ষার্থীরা হলের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো না খোলা হলে তারা কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির হল ১৩ মার্চের মধ্যে খোলার পরামর্শ