বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
ওই আদেশে সাত্তার, ঝিনাইদহ কারাগারের দুই রক্ষী কনস্টেবল বিশ্বজিৎ বাবু ও কনস্টেবল খায়রুল আলম, তদবিরকারক চাঁন্দ আলী বিশ্বাস (পিতা মৃত বজলু বিশ্বাস, গ্রাম উত্তরপাড়া, ঝিনাইদহ) ও এফিডেবিটকারী আসামি সাত্তারের পিতা নিজামুদ্দিনকে আসামি করতে বলা হয়েছে। একই সাথে তদন্তে আইনজীবী জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। এ সময় অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, উচ্চ আদালতে একের পর এক জালিয়াতির ঘটনায় হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে, ‘জালিয়াত চক্র নথি জাল করে কত জামিন আদেশ হাসিল করে কে জানে? হয়তো আমরা সবগুলো ধরতে পারি না। কিন্তু নথি সৃজন করে এ রকম জামিন জালিয়াতির ঘটনা তো ঘটছে। অনেক জালিয়াতি হচ্ছে।’
জানা যায়, পুলিশ ২০১৮ সালের ২ মে রাতে অস্ত্র ও গুলিসহ সাত্তারকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন সাত্তারের নামে অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়। ওই বছরের ৬ জুলাই সাত্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সাত্তারকে অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ১৭ বছরের সাজা দেন আদালত। নিম্ন আদালতের ওই রায় জাল করে আগ্নেয়াস্ত্রের পরিবর্তে ‘চাইনিজ কুড়াল’ উদ্ধার দেখিয়ে ভুয়া এজাহার ও রায় বানিয়ে তা হাইকোর্টে দাখিল করে। কিন্তু ওই আসামির দাখিল করা নথিপত্র নিয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমানের সন্দেহ হওয়ায় এ আইনজীবী নিজেই অনুসন্ধান চালান। তার অনুসন্ধানে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর ওই আইনজীবী গত ২১ সেপ্টেম্বর বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানান। পরে আদালত সাত্তারের জামিন আদেশ প্রত্যাহার করে আদেশ দেয়।