এ বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘৭৫-এর পর পদ্মা সেতু আমাদেরকে অহংকার ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছেন। এ বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কানেক্টিং পয়েন্ট কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) সংযুক্ত হলেও আইসিডি পরিচালনায় সমস্যা হবে না। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আরও আইসিডি প্রতিষ্ঠা করব। সে সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’
শনিবার ঢাকায় কমলাপুরস্থ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আয়োজিত আইসিডির মেট শ্রমিক ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু একটি আত্মমর্যাদার নাম, একটি সাহসের নাম, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার নাম। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অহংকারের বিজয় অর্জন করেছে। সে বিজয় এবং অহংকার; অন্ধকারে হারিয়ে যায় স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ বিবর্ণ হয়ে যায়। সারা বিশ্বে পরিচয় পায় ক্ষুধা, দারিদ্র ও বন্যাকবলিত বাংলাদেশ। দেশে দারিদ্রতা বিক্রি করে বিভিন্ন জন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে; নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। অথচ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দারিদ্র বিমোচন হয়নি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী চক্রান্ত করছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সপ্তম নৌবিহার পাঠিয়েও বাংলাদেশের বিজয় আটকাতে পারেনি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি মার্কিন -বৃটিশ বেনিয়াদের সহ্য হচ্ছেনা। তারা টেনে ধরার ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীরা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। অপপ্রচার চালিয়ে অগ্রগতি থামানো যাবে না। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু সংকট নাই। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৪তম অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশ হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, আইসিডির ম্যানেজার আহমাদুল করিম এবং আইসিডির শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তুষার খান বাবুল।