শরীয়তপুরের জাজিরার পাইনপাড়া চরে শনিবার রাতে নৌ পুলিশের সঙ্গে ইলিশ ধরার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জেলেকে আটক করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল পদ্মা নদীতে জাজিরা পয়েন্টে অভিযান চালালে একদল জেলেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে দেখলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত মাছ পেয়ে খুশি সুন্দরবনের জেলে ও ব্যবসায়ীরা
ইউএনও মো. কামরুল হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশে কাজিরহাট ও দুবিসাবর বন্দর এলাকায় মা ইলিশ রক্ষা ও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জনগণকে সচেতন করতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন লিফলেট বিতরণ করেছে। এরপরে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করি যেন কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরতে না পারে।
আরও পড়ুন: ট্রলারডুবি: ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় কোস্টগার্ড
তিনি বলেন, মাঝিরচর পাইনপারা এলাকায় পৌঁছলে শতাধিক জেলে টহল দলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় নৌ পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে জেলেরা পিছু হটেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১০ জেলেকে আটক করেছি, এদের মধ্যে ৯ জনকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং একজনকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ইউএনও কামরুল হাসান।