পটুয়াখালীর বাউফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ২০জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এই সংঘর্ষ হয়।
এদের মধ্যে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার গুরুতর আহত অবস্থায় শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, মোতালেব ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ফিরোজ ও মোতালেব একই স্থানে ও সময়ে কর্মসূচি ডাকেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে র্যাবের গাড়ি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ৮: র্যাব
উপজেলা যুবলীগ নেতা অরিবিন্দু ইউএনবিকে বলেন, সকাল ১১টার দিকে মোতালেব ও তার অনুসারীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইর ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচির নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুঁড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইভিএম ব্যালট ইউনিট ছিনতাইয়ের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ইসির মামলা