বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেয়।
রায়ে মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম, এএফএম ফয়জুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ফয়জুল্লাহ ও রাজ্জাক পলাতক আছেন।
মো. খলিলুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ, মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী, আলিম উদ্দিন খান (পলাতক) ও সিরাজুল ইসলাম তোতাকে দেয়া হয়েছে ২০ বছর করে সাজা। আর খালাস পেয়েছেন আব্দুল লতিফ।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার ৫ ‘রাজাকারের’ ফাঁসির রায়
এর আগে, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল। পরে চলতি মাসের ৯ তারিখে রায়ের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করা হয়।
ময়মনসিংহের নয়জনের এ মামলায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, জাহিদ ইমাম ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
রায়ের পর আব্দুস সাত্তার বলেন, এ মামলায় ১১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ অভিযোগ গঠন করেছিল আদালত।
আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ছিলেন খলিলুর, সামসুজ্জামান, আব্দুল্লাহ, মো. আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার, রইছ উদ্দিন ও আব্দুল লতিফ। পলাতক ছিলেন ফয়জুল্লাহ, রাজ্জাক, সিরাজুল, আলিম উদ্দিন ও নুরুল আমিন শাহজাহান।
তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে আবুল মেম্বার ও পলাতক থাকা অবস্থায় শাজাহান মারা যান।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে পটুয়াখালীর পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ: রাজশাহীর টিপু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধ মামলায় দুজনের মৃতুদণ্ড
আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর মধ্যে ছিল চারজনকে হত্যা, নয়জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রাম ও টাঙ্গাব ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।