বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-ম্যারি শুহ বিকালে বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ সমর্থন চান।
রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরার জন্য রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধিতে ফ্রান্স সক্রিয় থাকবে।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই চমৎকার এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি ফ্রান্সের অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন তিনি। সেই সাথে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে ফ্রান্সের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি এখানে ভবিষ্যতে আরও ফরাসি বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূত বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে এবং আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটা জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জ্যঁ-ম্যারি শুহ বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি চৌকস অশ্বারোহী দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়।