প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি একটি ওয়েবিনারের মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপ্ত ৩০ সংগঠনের নাম ঘোষণা করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত জানিয়েছেন, সমাজের জন্য তারা যা করছেন সেগুলো এগিয়ে নিতে এই পুরস্কার তাদের আরও বৃহত্তর নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।
এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রায়হানুল হক। দি সিক্স সেন্স বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি।
যৌন শিক্ষা ও যৌন হয়রানি থেকে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে চারজন যুবক মিলে এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটির সহ-প্রতিষ্ঠা হিসেবে আছেন মো. রায়হানুল হক।
বিভিন্ন যৌন নিপীড়ন থেকে নিজেদের রক্ষা ও বড় হয়ে যাতে তারা এ ধরণের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে, তেমন শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে প্রতিষ্ঠাটি।
রায়হানুল হক বলেন, ‘এই স্বীকৃতি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা এমন একটি জয় বাংলার স্বপ্ন দেখি যেখানে সকল শিশুর সুরক্ষিত শৈশব নিশ্চিত হবে।’
বিজয়ী আরেকটি সংগঠন উন্মেষ। এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সংগঠনটি বঞ্চিত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশুরা যাতে সঠিকভাবে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছে উন্মেষ।
প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধর বিটন চাকমা আগামীতে এসব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষা সচেতনা তৈরি করতে নিয়মিত কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড কেবল আমার বা উম্মেষ পরিবারের নয়, পুরো চট্টগ্রামের জন্যও বড় সম্মানের।’
জয় বাংলা একটি অসাম্প্রদায়িক দেশের মূলনীতিটির সাথে সংযোগ স্থাপন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই স্বীকৃতি নিজস্ব উদ্যোগে এবং সরকারি পর্যায়ে কাজ করার পথ সুগম করবে।’
আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তরুণদের প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা ২০১৪ সালে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’র নামে চালু করে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’।
দেশ ও নিজ সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া তরুণদের স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেয়া হয়। বিগত তিনটি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারও দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া তরুণদের ৬০০ সংগঠন থেকে শীর্ষ ৩০ সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।