মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজার ২৯৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৪ জনে পৌঁছেছে।
এর আগেরদিন ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১১ জনের মৃত্যু এবং ৪৪৬ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়।
আরও পড়ুন: টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেয়ার পরামর্শ
এদিকে, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ২৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২.৬৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৫১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৮ হাজার ৬২১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টিকার দ্বিতীয় চালান আসছে ২২ ফেব্রুয়ারি: বেক্সিমকো এমডি পাপন
প্রতিদিন অন্তত ২ লাখ মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ২৪ লাখ ছাড়িয়েছে। সেই সাথে শনাক্ত রোগী ১০ কোটি ৯১ লাখ অতিক্রম করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ লাখ ৭ হাজার ৬০৭ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৯১ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: অনেক দেশই টিকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
টিকা প্রদানে প্রবীণদের অন-স্পট রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি বিবেচনাধীন: স্বাস্থ্য সচিব
শিশুদের ওপর করোনার টিকা প্রয়োগের পরীক্ষা চালাবে অক্সফোর্ড
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজারের অধিক করোনায় আক্রান্ত এবং ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে। ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে দ্বিতীয়তে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি ৯ লাখ ১৬ হাজার এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩২ জন। ব্রাজিলে মোট শনাক্ত রোগী ৯৮ লাখ ৬৬ হাজারের অধিক এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৭৭৩ জনের।
মেক্সিকো ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৫৭ জনের মৃত্যু নিয়ে এ ক্ষেত্রে তিন নম্বরে থাকালেও রোগীর সংখ্যা নিয়ে আছে ১৩তম অবস্থানে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুন: টিকাদান ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
রোগী শনাক্তের দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশ হলো- যুক্তরাজ্য (প্রায় ৪০ লাখ ৫৯ হাজারের বেশি), রাশিয়া (৪০ লাখ ৪০ হাজারের বেশি), ফ্রান্স (প্রায় ৩৫ লাখ ২৮ হাজারের বেশি) ও স্পেন (৩০ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি)।
মৃতের দিক দিয়ে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য (১ লাখ ১৭ হাজার ৬২২ জন)। তারপরে ইতালিতে ৯৩ হাজার ৮৩৫ জন, ফ্রান্সে ৮২ হাজার ৩৭৪ জন ও রাশিয়ায় ৭৯ হাজার ২১০ জন মারা গেছেন।