বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের যৌথ উদ্দেশ্য সীমান্তে কোনো অপরাধ, মৃত্যু না হওয়া। আমি নিশ্চিত যে আমরা যদি এটি সঠিকভাবে অর্জন করতে পারি-তবে কোনো মৃত্যু হবে না- আমরা একসাথে এই সমস্যাটিকে কার্যকরভাবে সমাধান করতে পারি।’
জয়শঙ্কর বলেন, দুই দেশ সমস্যাটি সম্পর্কে জানে এবং সমস্যাটি অপরাধের কারণে হয়।
বৈঠকে দু'দেশই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পানিবণ্টন ইস্যুতে ভারতীয় মন্ত্রী বলেন, ভারতের অবস্থান সম্পর্কে সকলেই জানেন এবং সেই অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি।
আরও পড়ুন: আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
মোদি টুঙ্গিপাড়া সফর করতে পারেন ২৬ মার্চ
এই মাসে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দুই দেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুরু হওয়া বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
এর আগে সকালে জয়শঙ্কর ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান। ঢাকায় বিএএফ বঙ্গবন্ধু ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
দু'দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে জয়শঙ্কর ঢাকায় আসেন।
সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও বৈঠক করবেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের পর জয়শঙ্কর ঢাকা সফর করছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নরেন্দ্র মোদির ২৬-২৭ মার্চ ঢাকায় সফর করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ ঢাকার
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ২৬ মার্চ ঢাকা এবং ভারতের নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দুই নেতা ভার্চ্যুয়াল শীর্ষ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।