আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ সহযোগিতা করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগের ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সম্মিলিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে।’
বৃহস্পতিবার সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ইউনেস্কোর সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আদ্রে আজুলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত বিশ্ব মানবতা ও শান্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদানের সবচেয়ে উপযুক্ত সম্মান।
আরও পড়ুন: প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশের অবস্থান ও বর্তমান অবস্থানের মধ্যে পার্থক্য শুধু তাঁর (বঙ্গবন্ধু) সৃজনশীল নেতৃত্ব ও উত্তরাধিকারের জন্য।
বাংলাদেশের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধ সক্ষমতা সত্ত্বেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অবদান রাখতে চাই।’
ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার সৃজনশীল অর্থনীতিতে ইউনেস্কোর প্রচেষ্টাকে জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এই ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার অবশ্যই সৃজনশীল উদ্যোক্তা বিকাশের সর্বোত্তম অনুশীলনকে ধারণ, উদযাপন ও যোগাযোগের মাধ্যমে একটি জ্ঞান ভাগ করে নেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছর বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, ‘মুজিববর্ষ’, উদযাপন করছে। এ উদযাপনের সাথে ইউনেস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৩৩০ মিলিয়ন দেবে ফ্রান্স, ৩ চুক্তি স্বাক্ষর