অভিযোগ সমাধানে চবি উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শিরীন আখতারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। এতে একদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শিরীন আখতার বলেন, ছাত্রদের ব্যক্তিত্বের সংঘাতের কারণে ঝামেলা হয়েছিল। তারা যে অভিযোগ দিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তা সমাধান করা হবে।
হল দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, যে যার হলে আছে, সে তার হলেই থাকবে।
ছাত্রলীগের গ্রুপ বিজয় বিপক্ষ সিএফসি গ্রুপের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলকে বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছিল।
এ ব্যাপারে বিজয় গ্রুপের নেতা ও সাবেক সহ-সভাপতি শাহরিয়ার সৌরভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘উপাচার্য ম্যাম আমাদের দাবিগুলো তদন্তের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা অবরোধ প্রত্যাহার করছি। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলছে।’
রবিবার দিনভর সংঘর্ষ, ক্লাস বর্জন, ট্রেনের হোসপাইপ কেটে দেয়া, চালককে অপহরণ ও শিক্ষক বাসে সুপার গ্লু লাগিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়সহ নানা ঘটনার পর রাতে কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় চবি ছাত্রলীগের একাংশ।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে শনিবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার বিচার দাবি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেয়া হয়। এর মধ্যে রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে দুই গ্রুপের আবার সংঘর্ষে হয়।