এখন পর্যন্ত হাওরের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৮০ শতাংশ, নেত্রকোনায় ১০০ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৮ শতাংশ, সিলেটে ৯২ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৮৮ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৯০ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জে ৯৫ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এ বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান আবাদ হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে, কাটা শেষ হয়েছে চার লাখ ৫০০ হেক্টর। আর হাওরের বাইরে উঁচু জমিতে (নন-হাওর) আবাদ হয়েছে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে।
মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে, যা শতকরা হিসাবে ৬০ ভাগ ( হাওরে ৯০ শতাংশ, নন-হাওরে ৩২ শতাংশ)।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি হাওরে ঢুকে ফসলহানির আশঙ্কা সুনামগঞ্জের কৃষকদের
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দেয়ায় হাওরে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। শুধু সুনামগঞ্জ জেলাতেই ৫৭৭টি কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বৈরি পরিবেশের মধ্যেও দ্রুততার সঙ্গে বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য শুরু থেকেই কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। প্রায় এক হাজার ৬০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে ৩০০টি কম্বাইন হারভেস্টার অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা।
আরও পড়ুন: আগাম প্রস্তুতির কারণে এবার হাওরে ক্ষতি কম হয়েছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী