বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে- লাকসাম-নোয়াখালী রেল সড়কের দৌলতগঞ্জ, খিলা, বিপুলাসার। লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল সড়কের নাওটি। লাকসাম-আখাউড়া রেল সড়কের আলী শহর, ময়নামতি ও রাজাপুর। লাকসাম-চাঁদপুর রেল সড়কের শাহতলী, মৈশাদী, বলাখাল ও শাহরাস্তি। এছাড়া আরও ৫-৬টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে।
স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। রেলওয়ের সম্পত্তি দখল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনেক প্লাটফর্মের মধ্যে এখন ধান মাড়াইয়ের কাজও করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনবল সংকটের কারণে অধিকাংশ রেলস্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ট্রেনের যাত্রী সেবার মান নিম্নমুখী হওয়ায় যাত্রীরা রেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
সরেজমিনে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা রেলস্টেশন এলাকায় দেখা যায়, স্টেশনটি এক দশক ধরে বন্ধ। সেখানে স্টেশনের প্লাটফর্মে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল রেখেছেন। কোথাও গরু-ছাগল বাঁধা। কোথাও আবার ধান শুকানো হচ্ছে। লাকসামের দৌলতগঞ্জ রেলস্টেশনটির পাশের জায়গা দখল হয়ে গেছে।
আলী শহর স্টেশন সংলগ্ন বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘যোগাযোগের সুবিধার জন্য স্টেশনের পাশে বাড়ি করেছিলাম। লম্বা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন থামতো আর ছাড়তো। যাত্রী উঠা নামায় এলাকা সরগরম হয়ে উঠতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনটি বন্ধ।’
শাহরাস্তির প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘শাহরাস্তি রেলস্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এটিতে ট্রেন থামে। তবে স্টেশন বন্ধ। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।’
খিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘খিলা একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন। এটি বন্ধ থাকায় বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে রেলওয়ে কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার জানান, ‘স্টেশন মাস্টার ও জনবল সংকটের কারণে স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেশন মাস্টার নিয়োগ হলে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু হবে।’