বরাতিয়া, গোবিন্দকাটি, ঠাকুন্দিয়া, মালতিয়া, শোভনা, খর্নিয়া, শাহাপুর, আড়ংঘাটা, আরাজি ডুমুরিয়া, জিলেরডাঙ্গায় মাছের ঘেরের আইল ও ভিটে বাড়িসহ দ্বিগুণ জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে।
মৌসুমের শুরুতেই কেজি প্রতি ৮০ টাকা হলেও মাঝামাঝি সময়ে এখন ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দামের ক্ষেত্রে এ যেন আম্পানের ন্যায় ক্ষতি-লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
বরাতিয়া গ্রামের নিতাই কৃষ্ণ মল্লিকের ছেলে প্রশান্ত মল্লিক দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়েছেন বছর দুয়েক আগে। পুরো জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছেন। আর আইলের পাশে শিমের আবাদ।
তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে নভেম্বর মাসে প্রতি কেজির শিমের দাম ৮০ টাকা দাম পেলেও এখন মূল্য নিম্নমুখি। কেজি প্রতি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়ত পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পরিবহন ও শিম ক্ষেত থেকে তুলতে প্রতিদিন যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠছে না।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন
বরাতিয়ার প্রায় ৫০০ কৃষক শিমের আবাদ করে ঠকে গেছেন, বলেন তিনি।
একই গ্রামের ললিত দাস ১০ কাঠা জমিতে শিম চাষ করেছেন। ২০১৮ ও ২০১৯ এর তুলনায় এবারের উৎপাদন অনেক বেশি। যাকে কিনা বাম্পার উৎপাদন বলা চলে উল্লেখ করে ললিত দাস জানান শীতকালীন সবজি আবাদ করতে মহাজনের কাছ থেকে শতকরা ৫ টাকা সুদে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রূপসায় ব্রিধান-৮৭ এর বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকরা
এবারের যা দাম পাচ্ছেন তাতে নিজের হতাশার কথা জানিয়ে বলেন, ক্ষেত্র বিশেষে আট টাকা কেজিতে শিম বিক্রি করতে হচ্ছে।
গোবিন্দকাটি গ্রামের রমেশ সরকার, কিংকর বশাক ও ঠাকুন্দিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল গাজী বেগুনের পাশাপাশি শিমের আবাদ করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার গোমতীর চরে মুলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা দাম পেলেও এখন ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শিমও বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে।
চাষিরা জানান, মালতিয়া আড়তে গত বুধবার শিমের ক্রেতা ছিল না বললেই চলে। তাদের বাকিতে শিম বিক্রি করতে হয়।
তারা বলছেন, শিমের দামের ক্ষেত্রে আম্পানের ন্যায় বড় ধরণের ক্ষতি-লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।