ঢাকার চারপাশের নদী দখল ও দূষণরোধে ২০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ ও বনায়ণ তৈরিতে কাজ শুরু হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নদী দূষণরোধে বর্জ্যের উৎসমুখ বন্ধ করে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে সরকার।
নদীগুলো দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনাটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
পরিকল্পনাটি ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ, দখল এবং নাব্যতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের শাখা নদী ও খাল এগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে।
খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, দখলরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিকল্পে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে চারটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো-এক বছরের মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, তিন বছরের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী, পাঁচ বছরের মধ্যে মধ্য মেয়াদী এবং ১০ বছরের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী তিন পর্যায়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ১১৩ একর ভূমি অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার সীমানা পিলার স্থাপন, ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, তিনটি ইকোপার্ক ও ১৯ জেটি নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অধীনে বাবুবাজার ব্রিজ থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে সৌন্দর্য বর্ধন করা হবে।
বিনোদনের জন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ নদীর তীরে এবং আশুলিয়া ও টঙ্গীতে ইকোপার্ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকায় একটি হেলিপ্যাড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ: সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ঢাকা