ঈদের ছুটিতে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে ষাট গম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাট জেলার সব দর্শনীয় স্থান।
রবিবার বাংলাদেশে পালিত হয়েছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এলাকার ঐতিহ্যবাহী স্থানে ভিড় করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছে শিশুরা। বিনোদন পার্কগুলোর দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ করেছে।
মঙ্গলবার ষাট গম্বুজ মসজিদ, হযরত পীর খানজাহান মাজার, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্টে সাম্প্রতিক পরিদর্শনের সময় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী দেখা গেছে। কেউ কেউ তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন স্মৃতি হিসেবে আনন্দের মুহূর্তগুলো ক্যাপচার করতে আবার কেউ কেউ করেছেন ভিডিও।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে তিন দিনে ১১ কোটি টাকা টোল আদায়
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। ৬০০ বছরেরও বেশি আগে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
যদিও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যটি সারা বছরই দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে, তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের সংখ্যা থাকে বেশি। অনেকেই এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পর্যটকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও মাজার শরিফ, খাঞ্জেলি দিঘি, মোহাম্মদ তাহেরের মাজার, জিন্দাপীরের মাজার, একগম্বুজ মসজিদ, বিবি বেগনীর মসজিদ, পচা দিঘি, চুনখোলা মসজিদ ও সিংরা মসজিদেও পর্যটকদের ভিড় ছিল।
ঢাকা, খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা জেলার ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখতে ভিড় জমায় এখানে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড
এছাড়া অযোধ্যা মঠ, বারাকপুর সুন্দরবন রিসোর্ট, বাগেরবাজার পৌরসভা পার্ক, চুলকাঠি, চন্দ্রমহল পার্কও ছিল দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত।