বাগেরহাটে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে হাজার হাজার চিংড়িঘের আর শত শত পুকুর ডুবে গেছে। ভেসে গেছে চাষিদের স্বপ্নের চিংড়ি, কাঁকড়া আর বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ। কোটি কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছে চিংড়ি চাষিরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছরই নানাভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে এই জেলার চিংড়িঘেরগুলো। অতিবৃষ্টি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, অতিরিক্ত খরা আর ভাইরাসে চিংড়িঘের উজাড় হচ্ছে। এতে করে পুঁজি হারিয়ে অনেক চিংড়ি চাষি এখন সর্বশান্ত হওয়ার পথে। এ অবস্থায় এই অঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা হতাশায় ভুগছেন। তাই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনা চাইলেন চিংড়ি চাষিরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৩ কোটি টাকার চিংড়ি রেনু জব্দ, ৪ জনকে জরিমানা
বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, সম্প্রতি অতিবর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলার ৯ উপজেলার আট উপজেলায় ৯ হাজার চিংড়িঘের, সাত হাজার ৫০০ পুকুর ও ২৭০ কাঁকড়াঘের ডুবে গেছে। ৪৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এসব মৎস্যঘের ও পুকুর ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ ১১ কোটি টাকা। তবে চিংড়ি চাষিদের দাবি তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
জানা গেছে, প্রায় প্রতিবছরই একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চিংড়ি শিল্প। চিংড়ি পোনা সংকট, ঘেরে ভাইরাস, দরপতন আর পানিতে চিংড়ি ভেসে যাওয়ার ঘটনা এখন প্রতিবছরই ঘটছে। এছাড়া প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগতো লেগেই আছে। সর্বশেষ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ভারি বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটে ৯ হাজার চিংড়িঘের ডুবে গেছে। এর আগে ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছাসে বাগেরহাট সাড়ে ছয় হাজার মৎস্যঘের ডুবে যায়।
বাগেরহাটের চাষিদের তথ্য মতে, ইয়াসে প্রভাবে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা।