আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপের এসব ঘরের জন্য প্রত্যেক ভূমিহীন দুই শতক করে জমি পাবেন। ৭ এপ্রিলের মধ্যে ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর আগে প্রথম ধাপে খুলনায় ৯২২ ভূমিহীন পরিবার ঘর পান।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের ঘরগুলোর নকশায় কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। প্রথম ধাপের প্রতি ঘরের জন্য এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। দ্বিতীয় ধাপে প্রতিটি ঘরের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপের ঘর দেয়ার পর বিদেশি কূটনৈতিকরা প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূমিহীন ১ হাজার ৩৫১ পরিবারের নাম আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ডুমুরিয়ায় ৫০০, পাইকগাছায় ৩০০, রূপসায় ২১৫, দাকোপে ২০০, তেরখাদায় ৪০, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা ও কয়রায় ৩০টি করে ও ফুলতলা উপজেলায় ৬টি গৃহহীন পরিবার ঘর পাবেন।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের জন্য ঘর
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম জানান, দ্বিতীয় ধাপের জন্য উপজেলা সদর, সাচিয়াদাহ ও ছাগলাদাহ ইউনিয়নে ঘর নির্মাণের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভূমিহীনদের তালিকা দিতেও ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। প্রথম ধাপে শুধুমাত্র ছাগলাদাহ ইউনিয়নে ৪০টি ভূমিহীন পরিবার ঘর পায়।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার জানান, আইচগাতী, শ্রীফলতলা, টিএস বাহিরদিয়া, ঘাটভোগ ও নৈহাটী ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে এখানে ৭২টি গৃহহীন পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জানান, দামোদর ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপের ঘর নির্মাণের জন্য স্থান চূড়ান্ত করা হচ্ছে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। প্রথম ধাপে উপজেলার ৪ ইউনিয়নে ৪০টি গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার পেয়েছেন।
দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, ৩০টি গৃহহীন পরিবার দ্বিতীয় ধাপে ঘর পাবে। বারাকপুর ও দিঘলিয়া ইউনিয়নে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৭০টি গৃহহীন পরিবার ঘর পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর বিরল দৃষ্টান্ত
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস জানান, সুতারখালী, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা ও দাকোপ ইউনিয়নের ২০০ ভূমিহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়ার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে তিলডাঙ্গা, পানখালী, বাজুয়া, লাউডোব ও বানিশান্তা ইউনিয়নের ১৪০টি গৃহহীন পরিবার ঘর পায়। গৃহহীনদের দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ধাপে গৃহ নির্মাণের মিস্ত্রি মজুরির একাংশ বকেয়া রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘর হারাদের নতুন স্বপ্ন ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ন নামে একটি প্রকল্প নেয়া হয়। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে। ভূমিহীন, গৃহহীন, অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, তাদের ঋণ প্রদান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয় বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র দূর করাই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর