স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক বাহিনীর অংশের একটি রানওয়ে ও এর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানী দামেস্কের প্রধান বিমানবন্দর আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেসব রানওয়েতে ইসরাইল হামলা চালায় যেগুলো দিয়ে মাত্র মাসখানেক আগেও ইরানের অস্ত্রের চালান এসেছে।
শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবিটি বিশ্লেষণ করেছে।
প্লানেট ল্যাব পিবিসির বৃহস্পতিবারের নেয়া ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পশ্চিমাংশের একমাত্র রানওয়ের হামলার জায়গার চারদিকে অনেকগুলো গাড়ি ঘিরে রেখেছে। হামলায় রানওয়েতে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং আগুন জ্বলছে।
আরেকটি হামলায় রানওয়ের দক্ষিণে বিমানবন্দরটির সামরিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সড়কের পিচ ও আরেকটি কাঠামো নষ্ট হয়েছে।
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো মতো বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে ব্যবহার করে যার একটি দিয়ে বেসামরিক ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর জন্য। হামলায় ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলেন, ‘হামলায় সামরিক বাহিনীর জায়গা ও যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করছে যে ইরানের একটি মিসাইলের চালানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘটিষ্ঠ সহযোগী ইরান। যারা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১১ সালে দেশব্যাপী চরম বিদ্রোহের সময় থেকে তার পক্ষে যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার এপির পক্ষ থেকে ইরান ও সিরিয়ার আন্তর্জাতিক মিশনে যেগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইল ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনেক হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি তারা।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল এই হামলার জন্য দায়ী ‘দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমান বন্দরে বার বার হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।’