ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে ফোনে কথা বলার একদিন পর মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মীর নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রচেষ্টা করতে পারায় তিনি খুশি এবং সাহায্য করবেন। খবর এনডিটিভি’র।
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সহজ সম্পর্ক তৈরি না হওয়ার কারণ হিসেবে ট্রাম্প বলেন, ‘এর জন্য দায়ী ধর্মই।’
হোয়াইট হাউজে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাশ্মীর একটি খুবই জটিল জায়গা। হিন্দুও রয়েছে এবং মুসলিমও রয়েছে, এবং আমি বলতে পারি না যে তারা একসাথে ভাল রয়েছে।’
‘মধ্যস্থতা করতে, আমি যতটা পারব করব…’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা দুটি দেশ, দীর্ঘসময় ধরে একসাথে এবং ঘনিষ্ঠভাবে থাকতে পারছেন না, এটা খুবই বিস্ফোরক পরিস্থিতি।’
এর আগেও মধ্যস্থতার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কথাও বলতে পারেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফ্রান্সে সাতটি দেশের শিল্প সম্মেলনে (জি-৭) দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়, ‘আমি মনে করি, আমরা বিষয়টিকে সাহায্য করছি। যেমনটা আপনারা জানেন, দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড রকম সমস্যা রয়েছে। মধ্যস্থতা করতে আমি যতটা পারি করব অথা কিছু তো করব।’
তার (ট্রাম্প) ভাষ্যে, ‘তাদের দুজনের ভাল সম্পর্ক, তবে এই মুহুর্তে তারা একে অপরের বন্ধু নয়। জটিল পরিস্থিতি, ধর্ম নিয়ে অনেক কিছু করতে হবে। ধর্ম একটা জটিল বিষয়।’
ভারত ও পাকিস্তান রাজি থাকলে, তিনি মধ্যস্থতায় রাজি বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতমাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে ভারতকে অবাক করে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কাশ্মীর নিয়ে নাকি তার ‘মধ্যস্থতা’ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি—যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।