নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ওয়াশিংটন। ২৪-২৬ আগস্ট ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের সময় মুখোমুখি হবেন নরেন্দ্র মোদি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়েই তারা একটি বৈঠকও করবেন।
তিনি বলেন, সম্ভবত সেই সাক্ষাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্তের পর তৈরি হওয়া ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা’ হ্রাস করার ব্যাপারে কি পরিকল্পনা করছেন তিনি তা জানতে চাইতে পারেন ট্রাম্প। খবর এনডিটিভি।
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা দেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্ভবত মোদির কাছ থেকে শুনবেন যে তিনি কীভাবে আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস করতে এবং কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষা করতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
দুই দেশই যদি সহমত হয় তবে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সহায়তা করতে প্রস্তুত’ ট্রাম্প, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ইচ্ছার কথা ফের জানিয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কাশ্মীরকে ‘খুবই জটিল জায়গা’ আখ্যায়িত করে সেখানকার ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বন্ধ করে শান্ত ও সংযমী থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ‘অত্যন্ত আগ্রহী’। তিনি (ট্রাম্প) এ কথাও ইঙ্গিত করেছেন যে উভয় পক্ষ একমত হলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তবে আমরা জানি যে ভারত কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জন্যে আবেদন করেনি।