ভারতের নাগাল্যান্ডে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার পাল্টা হামলায় এক সৈন্য নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মোন জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় রবিবার দেশটির কেন্দ্রিয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ইউএনবিকে জানায়,ওই গ্রামের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য চলাচল রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী স্থানীয় দিনমজুরদের বহনকারী একটি ট্রাকে গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হয়।
সূত্র আরও জানায়, এই ঘটনার এক ঘণ্টা পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় সেনা সদস্যরা গুলি চালালে আরও পাঁচজন গ্রামবাসী নিহত হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা এই হামলার প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। সংঘর্ষে একজন সেনা সদস্যও মারা যান।
আরও পড়ুন: টিকা নেয়া পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো ভারত
রবিবার এক বিবৃতিতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য গতিবিধির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে নাগাল্যান্ডের মোন জেলার একটি এলাকায় অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভুলবশত ঘটা এই দুর্ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখিত।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে বলেছেন, এই ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হবে।
অন্যদিকে, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইটে লিখেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করছে যখন বেসামরিক নাগরিক বা নিরাপত্তা কর্মী কেউই আমাদের নিজেদের মাটিতে নিরাপদে নেই?