জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত মোট ২ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৭ জনের।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৪ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ২৭ হাজার ১৭৬ জনে।
কোভিড-১৯: বিশ্বব্যাপী ১৮ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সিএনএন শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ১ কোটি রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৯২ দিনে, কিন্তু এ সংথ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে মাত্র ৫৪ দিন।
শঙ্কা প্রকাশ করে গত বুধবার সিডিসি জানায়, আগামী ২৩ জানুয়ারির মধ্যে করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ৩ লাখ ৮৩ হাজার থেকে ৪ লাখ ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিল জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সংস্থা
এদিকে প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং একইসাথে করোনার নতুন স্ট্রেন শনাক্ত হওয়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রেও চাপ বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
গেল ৩০ ডিসেম্বর দেশটির কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে কোভিড-১৯ এর নতুন ধরনের (স্ট্রেন) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়।
স্থানীয় গভর্নর জারেড পোলিস জানান, শনাক্ত হওয়া রোগীর বয়স ২০ বছর। তিনি বর্তমানে ডেনভারের দক্ষিণ-পূর্বে আইসোলেশনে রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
কলোরাডো স্টেট ল্যাবরেটরি ভাইরাসটির রূপটি নিশ্চিত করেছে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলোকে তা অবহিত করা হয়েছে।
তবে কলোরাডোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এখন যে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে তা নতুন রূপের করোনার বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধের জন্য দ্রুত দ্বিতীয় ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ার কথা জানার যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) প্রধান।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ধরনের করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত
দেশটির বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জরুরি ব্যবহারের জন্য মডার্নার ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ করে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ওই সুপারিশ গ্রহণ করে ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ার কথা জানায় এফডিএ।
এফডিএ কমিশনার স্টিফেন হ্যান এক বিবৃতিতে জানান, নিয়ন্ত্রকরা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা মডার্নাকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি জানিয়েছেন, যারা জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
এছাড়া ডিসেম্বরের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় এফডিএ।
করোনা মহামারি: যুক্তরাজ্যে একরাতে ৫০ হাজারেরও বেশি আক্রান্ত
ফাইজারের মতো মডার্নার ভ্যাকসিনও সমান কার্যকারিতা দেখিয়েছে। মার্কিন ওষুধ সংস্থা মডার্নার টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯৪ শতাংশ নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
প্রথম দফায় চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং নার্সিংহোম বাসিন্দাদের ভ্যাকসিনের ডোজ দেয়া হবে বলে জানা গেছে। দ্রুত পরিবহন করা এই ভ্যাকসিনের মূল বিষয়, কারণ এটি অত্যন্ত স্বল্প তাপমাত্রায় (মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রাখতে হয়।
এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, বাহরাইন এবং সৌদি আরবে অনুমোদন পেয়েছে ফাইজারের এই ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারও শুরু করেছে যুক্তরাজ্য।