বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে কৌশলগত বিষয়গুলোর জ্ঞানভিত্তিক সমাধানে ২০১৮ সালে এডিবির দেয়া ২০ লাখ ডলার অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে এ সহায়তার দেয়া হবে বলে সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বর্তমান উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে বাংলাদেশকে রপ্তানি বৈচিত্রকরণ ও স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার বাড়ানো ছাড়াও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এবং আন্তদেশীয় বাণিজ্য অনেকাংশে বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা কেনা ও বিতরণে এডিবির ৭৬ হাজার কোটি টাকার তহবিল
তিনি বলেন, বর্তমানে ডুয়িং বিজনেস সূচকে ১৯০ দেশের মধ্যে ১৬৮তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির আরও অনেক উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
মনমোহন বলেন, সম্পদের নিবন্ধন, অনলাইন ব্যবসার পদ্ধতি, কর ব্যবস্থা ও চুক্তির নিয়মাবলি আধুনিকায়নের মাধ্যমে ডুয়িং বিজনেসের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক উন্নতি করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২১ অর্থবছরে ৬.৮ শতাংশ হবে: এডিবি
ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ সরকারের উন্নতি করতে আগ্রহী আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সহযোগিতা তাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিংয়ে উন্নতির ক্ষেত্রে একটি কার্যকর নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।’
দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সহযোগিতার (সাসেক) আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তআঞ্চলিক বাণিজ্যের প্রসারে বিনিয়োগ এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সুযোগ অনুসন্ধানে উচ্চমানের জ্ঞান এবং নীতি প্রণয়নে এ সহায়তা কাজে আসবে, উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
ধারণা করা হচ্ছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং অন্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে সরকার সামগ্রিক নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যবসায়ের সূচনা, নির্মাণ অনুমতি, বিদ্যুৎ সংযোগ, সম্পদের নিবন্ধন, ঋণ নেয়ার সুযোগ, কর প্রদান ও চুক্তির নিয়মাবলি প্রয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সাথে সামঞ্জস্য করতে পারবে।
এ সহায়তার আওতায় অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন, বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে গবেষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: বাংলাদেশকে এডিবির আরও ৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও ভারতসহ অত্র অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর র্যাংঙ্কিংয়ে অগ্রগতির সাথে পাল্লা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ডুয়িং বিজনেস সূচকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে হবে।
উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের যে সূচকগুলোকে ত্বরিৎ দৃষ্টি দেয়ার দরকার সেগুলো হলো- চুক্তির নিয়মাবলি কার্যকর (র্যাংঙ্ক ১৮৯), সম্পদের নিবন্ধন (১৮৪), বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া (১৭৬), দেশের সীমানা পেরিয়ে ব্যবসা (১৭৬), দেউলিয়া সমাধান (১৫৪), কর প্রদান (১৫১), নির্মাণ অনুমতি (১৩৫), ব্যবসার সূচনা (১৩১) এবং ঋণ পাওয়া (১১৯)।